পাহাড় কেটে জরিমানা গুনলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
অবৈধভাবে পাহাড় কাটায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ চার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। আজ রোববার পরিবেশ অধিদপ্তরের জরিমানার বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে শুনানি শেষে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ধার্য করা হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কুবিতে পাহাড় কাটা নিয়ে গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, মেসার্স এ রহমান এন্টারপ্রাইজ, স্টারলাইন সার্ভিসেস লিমিটেড, মেসার্স আব্দুর রাজ্জাক এবং জাকির এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড খোকন কনস্ট্রাকশন। এছাড়া আদেশে পাহাড়কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য বলা হয়েছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ব্যতীত পাহাড় কাটায় বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০)-এর ধারা-৭-এর পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধনের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন লাখ পাঁচ হাজার টাকা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ রহমান এন্টারপ্রাইজকে ৭৬ হাজার ২৫০ টাকা, স্টারলাইন সার্ভিসেস লিমিটেডকে তিন লাখ ৮১ হাজার ২৫০ টাকা, মেসার্স আব্দুর রাজ্জাককে তিন লাখ পাঁচ হাজার টাকা এবং জাকির এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড খোকন কনস্ট্রাকশনকে চার লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা সাত কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য বলা হয়।
ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি গ্রহণ এবং এ ধরনের অপরাধ না করার জন্য অঙ্গীকারনামা দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগেও পরিবেশগত ছাড়পত্র না নিয়ে পাহাড় কাটায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছিল পরিবেশ অধিদপ্তর। আইনে পাহাড় বা টিলা কাটার জন্য ছাড়পত্রের বিধান থাকলেও তা না নিয়েই পাহাড়-টিলা কাটছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পাহাড় কাটার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, পাহাড়গুলোকে গার্ড ওয়াল দিয়ে এবং পাহাড়ে গাছ লাগিয়ে সংরক্ষণ করা হবে।