বান্ধবীকে নিয়ে শিক্ষার্থীকে মারধর জাবি ছাত্রলীগ নেতার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও তার বান্ধবীর বিরুদ্ধে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম আদনান সাকিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের ৪৮তম ব্যাচ এবং এএফএম কামালউদ্দিন হলের ছাত্র। আর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শামিম শিকদার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের ৪০তম ব্যাচের ছাত্র। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শামিমের বান্ধবী রোজা সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৩ ব্যাচের ছাত্রী।
লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, সোমবার বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় আদনান সাকিব ও তার বান্ধবী ঐশ্বর্য বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ক্যাফেটেরিয়ার বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ডের কাছে বসে শামীম শিকদার তার এক বান্ধবীর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন।
একপর্যায়ে দূর থেকে ইশারা করে শামীমকে ফ্যানের সুইচ বন্ধ করতে বলেন আদনান। এ সময় আদনানকে সুইচ বন্ধ করতে বলেন শামীম। আদনান সুইচ বন্ধ করতে গেলে শামীম তার পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দেয়ার পর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আদনানকে চড়-থাপ্পড় দেন শামীম।
ভুক্তভোগী আদনান বলেন, আমি আমার এক বান্ধবীর সঙ্গে ক্যাফেটেরিয়ায় পড়াশোনা করছিলাম। এসময় ফ্যানের সুইচ দেওয়া নিয়ে তার (শামিমের) সঙ্গে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তিনি আমার পরিচয় জানতে চান। পরিচয়ে নিজেকে ফ্রেশার হিসেবে জানালে, তিনি আমাকে এলোপাথাড়ি চড় মারতে থাকেন। এ সময় আমার বান্ধবী আমাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসলে শামীম তার শরীরেও আঘাত করেন। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শামীম শিকদার বলেন, দূর থেকে ইশারা করার কারণে আমি ঠিক বুঝতে পারিনি আদনান আসলে কি বলতে চেয়েছে। কিছুক্ষণ পর ওই ছেলে নিজে এসে ফ্যানের সুইচ বন্ধ করে এবং আমার কাছে জানতে চায় আমি কেন সুইচ বন্ধ করিনি। এ সময় সে আমার গায়েও হাত দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের কাজ করছি। শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।