সৌন্দর্যের লীলাভূমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মিনি সুন্দরবন’
সুন্দরবনের সৌন্দর্য হৃদয়কে স্পর্শ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। প্রকৃতির মায়াজাল দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেকে। তবে সেজন্য সময়, শ্রম, অর্থ সবই প্রয়োজন হয় সুন্দরবন ভ্রমণে।
তবে সহজেই সুন্দরবনের ছোঁয়া পাবেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বসেই উপভোগ করেন সুন্দরবনের সৌন্দর্য। হ্যা, বাস্তবেই তাই। ক্যাম্পাসে সুন্দরবন!
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক পেরিয়ে এগিয়ে গেলেই মিলবে সৌন্দর্যের লীলাভূমি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিন লেক দেখে যে কেউ প্রথম দর্শনে সুন্দরবন বলেই মনে করবেন। শিক্ষার্থীদের কাছে এটি ‘মিনি সুন্দরবন’ নামে পরিচিত।
দুই পাশে সুন্দরী বৃক্ষের সারি, মাঝখানে সবুজ জলরাশি। সুন্দরী বৃক্ষের সারিগুলো মিনি সুন্দরবনের উপাধি দিতি দায়ী। আর লেকের জলরাশি যেন মনে করিয়ে দেয় পশুর নদীর বয়ে চলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই লেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ অবসর সময় কাটাতে আসেন। ছবি তোলেন প্রকৃতি প্রেমীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য ঘিরে রেখেছে ছোট্ট লেকটি। তাকে ঘিরেই নির্মিত হয়েছে শহিদ মিনার, মুক্তমঞ্চ, ক্যাফেটেরিয়া। ২০০৩ সালে লেকের দক্ষিণ পাশে লাগানো সুন্দরী গাছের চারার অধিকাংশই বেচে যায়।
এত বছরে লেকের জল আর পাড়ের সবুজ বনানী তৈরি করেছে ভিন্ন মাত্রা। গাছের শীতল ছায়া আর নির্মল বাতাস সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়। ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কেন্দ্রস্থল হবে লেকের পাড়। এজন্য কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।