ইবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। মনিরুল ইসলাম নামের ওই কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্টিং প্রেস অফিসে কর্মরত বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঝিনাইদহ জেলা জর্জ কোর্টের এ্যাডভোকেট নেকবার হোসেন স্বাক্ষরিত এক ডিমান্ড নোটিশের মাধ্যমে এ অভিযোগের বিষয়টি জানা যায়।
ওই নোটিশে বলা হয়, মনিরুল ইসলামের সাথে তার মক্কেল মাসুদ করিমের ঘনিষ্টতা ও বিশ্বাস ভাজন সূত্রে ইবি উপাচার্যের বিশেষ প্রয়োজনে তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা ধার চান। এরপর উপাচার্যের প্রয়োজন শুনে মাসুদ ১০ লক্ষ টাকা ধার দিতে রাজি হন।
গত বছরের ১৫ জানুয়ারী তার মক্কেলের নিকট থেকে মনিরুল উপাচার্যকে দেয়ার জন্য ধারে ১০ লক্ষ টাকা হ্যান্ডক্যাশ নেন। এর আগে ১৩ জানুয়ারী সমুদয় টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গিকার করেন। কিন্তু তিনি ঐ তারিখে টাকা প্রদানে অপারগ হওয়ায় অগ্রণী ব্যাংক, ইবি শাখায় (হিসাব নম্বর ৪২৯৬) একটি চেক প্রদান করেন।
যার চেক নম্বর ১১৮১-৩২৯৮৩১১ এবং টাকার পরিমান ১০,০০০০০ টাকা। পরে তার মক্কেল মাসুদ অত্র তারিখেই চেক নগদায়নের জন্য ব্যাংকে জমা দিলে অপর্যাপ্ত তহবিল স্বাক্ষরে অমিল মর্মে একটি ডিজঅনার স্লিপসহ ফিরিয়ে দেন।
এরপর ওই বিষয়ে মনিরুলকে অবহিত করা হলেও তিনি টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা সত্ত্বেও টাকা আত্মসাত করার অসৎ উদ্দেশ্যে তার মক্কেলকে চেক প্রদান করা হয় বলে ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাসুদ করিম বলেন, ‘বিশ্বাসে আমি তাকে ১০ লক্ষ টাকা নগদ ধার দেই। পরিশোধ করার নির্দিষ্ট দিন পার হয়ে গেলেও তিনি আমার টাকা ফেরত দেননি। পরে তিনি আমাকে একটি চেক দিলেও সে পরিমাণে টাকা তার হিসাব নম্বরে ছিল না। যার ফলে আমাকে আইনের দ্বারস্থ’ হতে হয়েছে।’
এ বিষয়ে ইবি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম টাকা ধার নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘পারিবারিক ঝামেলা দূর করতে তিন মাস আগে আমার কাছ থেকে দশ লক্ষ টাকার চেক নেয় মাসুদ। পরবর্তীতে যে কারো প্ররোচনায় আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। আমি অচিরেই তার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করবো সংশ্লিষ্টদের কাছে।’