শাটলের লাইট চুরি করে স্টেশন মাস্টারকে হুমকি দেয় শিক্ষার্থীরা: প্রক্টর
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:৪০ PM , আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:৪০ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেছেন, এক দল ট্রেনে লাইট লাগানোর পক্ষে আরেক দল লাইট না লাগানোর পক্ষে। ছাত্ররাই শাটলের লাইটগুলো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এমনও ঘটনা ঘটেছে, লাইট লাগানোর পরই স্টেশন মাস্টারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে লাইট খুলে নেওয়ার জন্য। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এসব কথা বলেছেন।
প্রক্টর বলেন, স্টেশন মাস্টার আমাদের কাছে এসে বলেন, ‘স্যার আমি এখন কী করবো?’ ট্রেনে আলো না থাকার জন্য আসলে ছাত্ররাই দায়ী। ট্রেন কর্তৃপক্ষ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এককভাবে এটা সমাধান করতে পারবে না, আমাদের সম্মিলিত সচেতনতা দরকার।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শাটল ট্রেনে ছাত্রীদের বহিরাগতদের দ্বারা উত্ত্যক্ত হওয়ার ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে চারটি দাবি জানিয়ে প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে চবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলো হলো-
১. শাটলে বহিরাগতদের যাতায়াত সম্পূর্ণ রোধ করতে হবে।
২. শাটলে প্রশাসনিক লোক নিয়োজিত করতে হবে।
৩. মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. শাটলে রাত্রিকালে চলাচলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে লাইট গুলো মেরামত করতে হবে৷
স্মারকলিপিতে বলা হয়, শহর থেকে ক্যাম্পাসে এবং ক্যাম্পাস থেকে শহরে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম আমাদের শাটল ট্রেন৷ প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের এই শাটল ট্রেনে যাতায়াত করতে হয়৷ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রতিদিন কৌশলে অনেক বহিরাগত যাতায়াত করে থাকে৷ তারা শাটল ট্রেনে অবস্থান কালে মেয়ে শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত, ভীড়ের মধ্যে শারীরিক লাঞ্ছনা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণ সহ নানা রকম অপকর্ম করে থাকে৷
অতএব শিক্ষার্থীদের শাটলে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বহিরাগতরা যাতে শাটলে যাতায়াত করতে না পারে সেই বিষয়ে অনতিবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি৷
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম নিথি বলেন, আমাদের সকালের শাটলে ছাত্রীরা হ্যানস্তার শিকার হচ্ছে, তাও বহিরাগতদের মাধ্যমে। শাটলে বহিরাগতদের চলাচল বন্ধ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হোক এবং শাটলের প্রত্যেকটি বগিতে প্রক্টর স্যার ও ক্যাম্পাসে কর্মরত পুলিশ প্রধানের নাম্বার দেওয়ার ব্যবস্থা নেয়া হোক। এতে করে যেকোনো মেয়ে বিপদে পড়লে ওই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবে। আশা করি প্রশাসন দ্রুত ও যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন।
প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, আমরা সবাই মিলে যদি সচেতন না হই তাহলে কেউ আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারবে না। আমাদের প্রত্যেককে পরস্পরকে সাহায্য করতে হবে। শাটল ট্রেনে আমরা প্রক্টর ও পুলিশের নাম্বার ঝুলিয়ে দেবো। আমি ওদের বলেছি যে ওরা ক্যাম্পাসে এ বিষয়ে একটা সচেতনতা মূলক র্যালি করতে পারে। তাহলে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।