পোষ্য কোটায় ভর্তিতে ন্যূনতম যোগ্যতায় ভর্তির দাবি কর্মকর্তাদের
পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম আবেদনের যোগ্যতা থাকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করাসহ ১৩ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্মকর্তা সমিতি।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মবিরতি পালন করেন বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারা। এসময় দাবি অনাদায়ে লাগাতার কর্মবিরতিরও ঘোষণা দেন তারা।
জানা যায়, চাকরি অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি, ক্যাম্পাসের দৈনিক কর্মঘণ্টা কমানো, বেতন স্কেল সংশোধনসহ মোট ১৩ দফা দাবিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারা।
এরপর থেকে দাবি আদায়ে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়ে যান তারা। তবে সর্বশেষ প্রশাসনের আশ্বাসে গত বছরের শেষের দিকে আন্দোলন স্থগিত করে কর্মকর্তা সমিতি। পরে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পুনরায় আন্দোলনে নামেন তারা।
কর্মকর্তা সমিতির দাবিগুলোর মধ্যে, অফিস সময় ৯টা থেকে সাড়ে ৪টার পরিবর্তে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২টা করা, চাকরি অবসরের বয়সসীমা ৬০ থেকে ৬২ বছরে উন্নীতকরণ, উপ-রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের বেতন চতুর্থ গ্রেড এবং সহকারী রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের বেতন ষষ্ঠ গ্রেড করা।
শাখা কর্মকর্তা হতে উপ-রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে মোট চাকুরিকাল ১০ বছর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণ তহবিলের অর্থ প্রচলিত ৩টি বেতন ভাতার পরিবর্তে ১৫টি বেতন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা, পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম আবেদনের (ভর্তি পরীক্ষা) যোগ্যতা থাকলেই ভর্তির ব্যবস্থা করা উল্লেখযোগ্য।
এদিকে ক্যাম্পাসের চলমান অবস্থা ও উন্নয়ন বিঘ্নিত করার লক্ষে কর্মকর্তা সমিতি এ আন্দোলন করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রগতিশীল একাধিক কর্মকর্তা। তাদের দাবি, কর্মকর্তা সমিতি বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার জন্য কর্মরিতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন।
এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি শামছুল ইসলাম জোহা বলেন, ‘দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও আমাদের দাবি আদায় না হওয়া আমরা কর্মবিরতি পালন করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম আবেদনের যোগ্যতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দাবি জানিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের ভর্তির ব্যবস্থা করা।’
এ বিষয়ে উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘কর্মকর্তাদের আন্দোলন দীর্ঘদিনের। তাদের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে সাংঘর্ষিক না হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্যই মেনে নেবে।’