র্যাগিংয়ে জড়িতদের বিচার দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
- জাককানইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:০১ PM , আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:০১ PM
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) দুই শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জয়বাংলা’ ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধনে র্যাগিংয়ের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। র্যাগিংয়ের নামে শিক্ষার্থীদের শারিরীক, মানসিক নির্যাতন ও হেনস্থা বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আন্দোলনকারীরা। এসময় তারা র্যাগিংয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ারও জোর দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে সংহতি জানান সহকারী প্রক্টর নজরুল ইসলাম,নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান আসিফ ইকবাল, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের প্রধান আল জাবির, সঞ্জয় কুমার মূখার্জি ও মোহাম্মদ মিলনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ। র্যাগিংয়ের শিকার নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফারহানা রহমান লিয়োনা ও তার মা মানববন্ধনে অংশ নেয়।
লিয়োনার মা সুলতানা জাফরিন নিগার বলেন, ‘আমার সামনে বলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসছো ভিসির নাম জানো না। ইংরেজিতে বানান করো। তুমি এই ড্রেস পরেছো কেনো? বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতনের করেছে। ডেকে নেওয়ার ১ ঘণ্টা পর যখন আমার মেয়ে ফিরেছে চোখের নিচ থেকে রক্ত পড়ছে মুখ থেকে ফেনা বের হয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে মেয়ে আমার।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জল কুমার প্রধান বলেন, ঘটনাটি আমাদের নজরে আসার সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্যের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুবই তৎপর। ক্যাম্পাসকে র্যাগিং মুক্ত রাখার জন্যে আমরা সকল হল ও ছাত্রাবাসগুলোতে আরও নিরাপত্তা জোরদার করবো।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফারহানা রহমান লিয়োনা এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরানকে র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে দুইজনকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।