বেরোবিতে ৭ বিভাগের প্লানিং কমিটিতে উপাচার্য নিজেই সদস্য
- বেরোবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৫:৪২ PM , আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:২৭ PM
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) আইন লঙ্ঘন করে ২১টি বিভাগের মধ্যে সাত বিভাগের প্লানিং কমিটিতে সদস্য হয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ নিজেই। আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র বিভাগীয় শিক্ষকগণের দ্বারা এসব প্লানিং কমিটি গঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিভাগগুলোতে শিক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য কাজে অ-ন্যয্যভাবে নিজের আধিপত্য বজায় রাখতেই তিনি এগুলোর সদস্য হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন (২০০৯ সালের ২৯ নং আইন)’র ধারা ৩৯(২) অনুযায়ী বর্ণিত তফসিলের (প্রথম সংবিধি) এর ১১(৮) অনুযায়ী বিভাগের মোট শিক্ষক সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক সমন্বয়ে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগীয় প্লানিং কমিটি গঠিত হওয়ার কথা। ওই কমিটির সদস্য সংখ্যা অন্যূন্য তিনজন হতে হবে। আইন অনুযায়ী প্লানিং কমিটির কাজ হলো বিভাগের সম্প্রসারণ এবং শিক্ষক, অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ।
শিক্ষক নিয়োগসহ বিভাগগুলোতে আধিপত্য বজায় রাখতে এবং উপাচার্যের অনুসারী কিছু শিক্ষককে বিধি বহির্ভূতভাবে পদোন্নতি দেয়ার জন্যই তিনি যেকোনোভাবে ওই সকল বিভাগের প্লানিং কমিটিতে নিজেকে সদস্য হিসেবে রেখেছেন। উপাচার্য বিভিন্ন কায়দায় যেসব বিভাগের প্লানিং কমিটির সদস্য হয়েছেন সেগুলো হলো অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, সমাজবিজ্ঞান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, লোকপ্রশাসন, ইলেকট্রনিক্স এন্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন নীলদলের সাধারণ সম্পাদক ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল বলেন, উপাচার্য নিয়ম লঙ্ঘন করে লোকপ্রশাসন বিভাগে প্লানিং কমিটি গঠন করে নিজেই সদস্য হয়েছেন। অথচ আইন অনুযায়ী বিভাগের শিক্ষক হিসেবে আমি প্লানিং কমিটির সদস্য হওয়ার কথা। তিনি এই অবৈধ প্লানিং কমিটির মাধ্যমেই শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছেন। আমি এই বিষয়ে লিগাল নোটিশ পাঠিয়েছি। তিনি এসবের তোয়াক্কা করছেন না। তাই আমি আইনী প্রক্রিয়ায় যাবো।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম বলেন, যে পদগুলোতে তিনি (উপাচার্য) আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন বিধি মোতাবেক নতুন করে প্লানিং কমিটি করার জন্য অনুরোধ জানাবো। আমি চাই বিধি মোতাবেক প্লানিং কমিটিগুলো নতুন করে করা হোক।
এ বিষয়ে উপাচার্যের সাথে দেখা করতে তার দপ্তরে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি মুঠোফোনে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।