২৭ জানুয়ারি ২০২০, ১১:১৫

কুবির প্রথম সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙ্গা উল্লাস

  © অনিকেত প্রান্তর

শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে বড় অর্জনের স্বীকৃতি আজকে পাচ্ছি। এ আনন্দ বলে বোঝানা যাবে না। আজ যেন ফিরে গেছি কয়েক বছর আগে। প্রথম ব্যাচ থেকে অষ্টম ব্যাচ পর্যন্ত সবার সাথে দেখা হচ্ছে। ক্যাম্পাসের আড্ডা, হেঁটে বেড়ানো, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে খুনসুটি, সব যেন চোখে ভাসছে।

শিক্ষাজীবনের বহুল কাঙ্ক্ষিত সমাবর্তনে যোগ দিতে এসে এ কথা বলছিলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ফেরদৌস কবির। আবেগ মাখানো কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন তিনি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন উপলক্ষে প্রায় তিন হাজার গ্র্যাজুয়েটের পদচারণায় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সমাবর্তনে দেওয়া গাউন পরে নিজের স্মৃতি বিজড়িত ক্যাম্পাসের শেষ মুহূর্তগুলোকে ধারণ করে রাখতে সেলফি-ছবি তুলে যাচ্ছেন বিদায়ী গ্র্যাজুয়েটরা।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, সমাবর্তন উপলক্ষে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। নানা রঙের পত‍াকা, ব্যানার ও ফেস্টুনে সজ্জিত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্বর। সবখানেই কালো গাউন পরিহিত গ্রাজুয়েটদের পদচারণা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে চলছে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন।

এছাড়া ক্যাম্পাস গেট, কাঁঠালতলা, মুক্তমঞ্চ, বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য, বিভিন্ন অনুষদ, ফরেস্ট অব আর্ডেনসহ সর্বত্র চলছে সমাবর্তনের আনন্দ-উচ্ছাস। বহুল প্রতীক্ষিত দিনটাকে স্মরণীয় করতে গ্র্যাজুয়েটরা অনেকেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।

এছাড়া প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি ধরে রাখতে ক্যামেরায় একের পর এক ক্লিক করছেন কেউ কেউ। আবার কে সমাবর্তনের ক্যাপ ছুড়ে দিয়ে বাঁধভাঙা উল্লাসে আকাশ ছুঁতে চাইছেন।

বছরখানেক আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়েছেন মিশকাত মিশু। নিয়ে এসেছেন পরিবারের সব সদস্যদের। তিনি বলেন, ‘এতোদিন একটা পিছুটান ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ে। জানি একদিন আসতেই হবে। কিন্তু আজকের পর আর পিছুটান থাকছেনা। আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দেয়া হচ্ছে। কষ্ট হচ্ছে ভীষণ।’

মুক্তমঞ্চে বন্ধুদের নিয়ে উল্লাসে মেতেছেন সোহাগী জাহান। তার কন্ঠে আনন্দ উচ্ছ্বাসের ছাপ। তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সবার সাথে বহুদিন পর দেখা হচ্ছে। এ আনন্দই অনেক।’