খেলার মাঠ দখল করে ফুল বাগান, সমালোচিত কলেজ উপাধ্যক্ষ
অবসরে যাওয়ার আগেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে কর্মস্থলের সৌন্দর্য বাড়াতে চেয়েছিলেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদ উদ্দীন। তাই নিজের বাবার নামীয় ট্রাস্টের অর্থায়নে একটি ফুল বাগান তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু প্রথম দিনেই ফুল বাগান তৈরির কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। সমালোচিত হলেন উপাধ্যক্ষ নিজেই।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের খেলার মাঠে ফুল বাগান তৈরির কাজ শুরু হয়। ফুল বাগান তৈরির কাজটি ভালো হলেও খেলার মাঠ সংকুচিত করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ক্রীড়া প্রেমিরা।
কলেজ প্রশাসন সূত্র জানায়, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদ উদ্দীন তাঁর বাবার নামীয় ট্রাস্টের অর্থায়নে বাগান তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। এজন্য কলেজ মাঠের পশ্চিম-দক্ষিণাংশে লম্বায় ১৫০ ফুট ও সাড়ে ৩ ফুট প্রশস্ত জায়গা বেছে নেওয়া হয়। বুধবার সকালে মাঠের ওই অংশে খোঁড়াখুঁড়ি করতে দেখা যায়। যদিও প্রশাসনিকভাবে জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে কলেজের একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, খেলার মাঠটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফুল বাগান করে মাঠটি সংকুচিত করা ঠিক হবে না। কারণ এই মাঠে খেলাধুলা ছাড়াও রোভার মুটের বার্ষিক ক্যাম্প, শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ও একাডেমিক নানা আয়োজন হয়ে থাকে।
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। প্রশ্নবিদ্ধ হন ফুল বাগান তৈরির উদ্যোক্তা। পরে অবশ্য খেলার মাঠ কেটে বাগান তৈরির কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয় ক্যাম্পাসের অন্য কোনো স্থানে ফুল বাগানটি তৈরি করার।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদ উদ্দীন বলেন, অবসরে যাওয়ার আগেই ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও অর্থায়নে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চাই। তাই ফুল বাগান তৈরির কাজ শুরু করি। কিন্তু বাগানের কারণে খেলার মাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শুনে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি। ক্যাম্পাসের অন্য কোনো স্থানে বাগানটি করা হবে বলেও জানান তিনি।