ডিগ্রি পাস ছাড়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি হওয়া যাবে না
গ্রাজুয়েট ব্যক্তি ছাড়া (ডিগ্রি পাসের নিচে নয়) ফাজিল (স্নাতক) মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি হতে পারবে না বলে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো.হুমায়ুন কবির। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মুনতাসীর শাহীন ও অ্যাডভোকেট মো. আল-আমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রাজুয়েট ব্যক্তি ছাড়া (ডিগ্রি পাসের নিচে নয়) ফাজিল (স্নাতক) মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি হতে পারবে না বলে হাইকোর্ট অভিমত দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের এ অভিমত শুধু এ রিটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
আদালত রায়ে বলেছেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রথমে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী তিনজন ব্যক্তির নাম পাঠাবেন। তিনজনের মধ্যে থেকে ভিসি একজনকে সভাপতি পদে মনোনীত করবেন। কিন্তু ডিও লেটারে কেউ সভাপতি হলে সেটা বাতিল হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি পদে এমপির ডিও লেটারধারী বেলাল হোসাইন বাবলুকে মনোয়ন দেয়ায় তার সভাপতি পদ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বলেন, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি পদে এমপির ডিও লেটারধারী বেলাল হোসাইন বাবলুকে মনোনয়ন দেয় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু তার নামই সুপারিশ করে প্রতিষ্ঠানপ্রধান ভিসির কাছে পাঠিয়েছিলেন। পরে বেলাল হোসাইন বাবুলকে সভাপতি পদে মনোয়ন দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ওই মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য আরিফুল ইসলাম। এরপর ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন।