প্রক্টরের জালিয়াতির পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান জবি শিক্ষার্থীদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) বর্তমান প্রক্টর ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। অন্যদিকে প্রক্টরের জালিয়াতির খবর প্রকাশ করায় বিভিন্ন পত্রিকা আগুনে পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেছেন তার নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোনায়েম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক তানজিম সাকিব এক যৌথ বিবৃতিতে প্রক্টরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগকে অনাকাক্সিক্ষত এবং উদ্বেগজনক উল্লেখ করে অভিযোগ আমলে নিয়ে অবিলম্বে সঠিক তদন্তের আহ্বান জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এবং বিধিবহির্ভূতভাবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের গুরুতর অভিযোগ ওঠেছে। ইতিমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে তিনি রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সনদ গ্রহণ করেন। সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, তিনি ১৯৯৮-৯৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে তার ব্যাচের ৯০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৯তম স্থান অর্জন করেন। বিধি অনুযায়ী সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ পেতে হলে কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
এক্ষেত্রে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর নয় মাসের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। এছাড়াও তার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিধি অনুযায়ী তিন বছরের গবেষণায় নিযুক্ত থাকার বাধ্যবাধকতাও মানা হয়নি বলে খবর বেরিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিক্ষোভ মিছিল করতে বিভাগীয়ভাবে শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নেতারা অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যাখা দাবি করেন এবং প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত চান।
এদিকে প্রক্টরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণিত করতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা তার পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিভিন্ন সংবাদ পত্রিকা আগুনে পুড়িছেন এবং পরে পুরো ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন।