গ্র্যাজুয়েট মায়ের ছবি তুলছে ছেলে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে মোবাইল হাতে গ্র্যাজুয়েট মায়ের ছবি তুলেছে ছেলে। তারপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় বেশ প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তারা। শনিবার লাভ ইমোজি সংযুক্ত করে ‘গ্র্যাজুয়েট মায়ের ছবি তুলছে তার ছেলে! জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়!’ ক্যাপশন দিয়ে এভারগ্রিন বাংলাদেশ ফেসবুক পেজে ছবিটি পোস্ট করেন আব্দুল করিম বিন আব্বাস নামের একজন। তখনই মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায় মা-ছেলের এই ছবিটি।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সমাবর্তন বোর্ডের সামনে লাল শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে আছেন এক গ্র্যাজুয়েট। মাথায় সমাবর্তন টুপি ও গায়ে গাউন পরিহিত ওই গ্র্যাজুয়েট স্মিত হাসিমুখে ছবির জন্য পোচ দিচ্ছেন। তার সামনেই একটু দুরে দাঁড়িয়ে মাথায় টুপি ও শীতের পোশাক পরিহিত ছোট্ট ছেলে মোবাইল তাক করে গ্র্যাজুয়েটের ছবি তুলছে।
ছবির প্রতিক্রিয়ায় একজন লিখেছেন, ‘আমার ছেলে একদিন আমার ছবি তুলবে। ইনশাআল্লাহ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘সেরা ছবি।’ এর আগে ফেসবুকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনের এক প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটের ছবি শেয়ার দেয়া হয়। ওই ছবিতে দেখা যায়, সমাবর্তন পোশাকে হুইল চেয়ারে বসে আছেন এক গ্র্যাজুয়েট।
‘কোটা সংস্কার চাই (বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ)’ ফেসবুক পেজে ছবিটি পোস্ট করেন ওবায়দুর রহমান নামে একজন। এরপরই ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
তিনি লিখেছেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ব্যাচের ছাত্র হাফিজ ভাই। হাত, পা অকার্যকর! মুখ দিয়ে লিখেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। জবির প্রথম সমাবর্তনে অন্যদের মত হাফিজ ভাইও গাউন পড়েছেন। হার না মানা অদম্য জবিয়ান!।’
বিকেল ৪টা ৪৪ মিনিটে পোস্ট করা হয় ছবিটি। দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ৭৫ হাজার ব্যক্তি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। মন্তব্য করেছেন তিনশ জনের বেশি। শেয়ার হয়েছে ২১২ বার।
ছবিটি পোস্ট করে তাদের মা-ছেলে বলে পরিচয় দেয়া হলেও বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ নেই। ফলে ওই গ্র্যাজুয়েট কোন বিভাগের ও কত সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন তা জানা যায়নি।
১৪ বছর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম সমাবর্তন। সমাবর্তনে ১৯ হাজার গ্র্যাজুয়েটকে সনদ দেয়া হয়। এক যুগেরও পর অনুষ্ঠিত এই সমাবর্তনকে ঘিরে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছে জবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।