বামজোটের মিছিল থেকে কবি নজরুল কলেজ ছাত্র আটক
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কালো পতাকা নিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে বামজোটের কর্মীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। জোটের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময় কবি নজরুল সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের প্রথম বার্ষিকী আজ। এদিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনের অংশ হিসেবে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে রওনা হন বামজোটের নেতারা।
মিছিলটি কদম ফোয়ারার সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশের দেয়া দেয়া ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান নেতাকর্মীরা। বেলা ১টার দিকে মৎস্য ভবনের সামনে আবারও পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বাম জোটের নেতা-কর্মীরা। তারা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে পুলিশের বাকবিতণ্ডা ও একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।
একপর্যায়ে মিছিল থেকে ইঁটপাটকেল ছুড়ে মারার অভিযোগ তুলে পুলিশ সদস্যরা নেতা-কর্মীদের ওপর শুরু করে লাঠিচার্জ। তাদের মারধর করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। তিন পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এসময় মৎস ভবন মোড় থেকে প্রেসক্লাবের দিকে যান চলাচল প্রায় ২০ মিনিট বন্ধ থাকে।
আটক ওই শিক্ষার্থীর নাম জুবাইর হোসাইন সজল। সে কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের (১ম বর্ষ) শিক্ষার্থী। এছাড়া সজল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কবি নজরুল সরকারি কলেজ সংসদ এর দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কবি নজরুল সরকারি কলেজ সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিজম ফকির জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের ১ম বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। সজল কবি নজরুল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। আগামী ৫ জানুয়ারি পরীক্ষা রয়েছে তার।
সজলের সহপাঠী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান জানান, আমাদের ৮টি কোর্সের মধ্যে ৬ কোর্সের পরীক্ষা এখনো বাকি আছে। সে পরীক্ষা দিতে না পারলে ২য় বর্ষে উঠার সুযোগ হারাতে হবে।
এ ঘটনায় গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এবং তিন পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।