নেত্রকোনায় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে চলছে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়
- বিজয় চন্দ্র দাস, নেত্রকোনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:৫১ PM , আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:২০ PM
নেত্রকোনা পৌরশহর রাজুর বাজার এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে চলছে নব্য প্রতিষ্ঠিত শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় সকল কার্যক্রম। শুরুতে বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, আইসিটিসহ কয়েকটি বিভাগ খোলা হয়েছে। নেত্রকোনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চলছে জেলার একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান।
আগামী মাসের মধ্যেই শুরু হচ্ছে নিজস্ব অধিকৃত স্থানে আড়াই হাজার কোটিরও বেশী টাকার শ্রেণীকক্ষ, অফিসকক্ষ, গবেষণাগারসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত প্রকল্পের কাজ। গত মাসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট ক্যাম্পাসের জন্য অধিগ্রহণকৃত ৪ শত ৯৮ দশমিক ৪৫ একর জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রথম পর্যায়ে ১০ জন জমির মালিককে মোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি আলাদা ভবনে ভিসির কক্ষ, রেজিস্টার কক্ষ, সহকারী কক্ষ, পাঠাগার ও শ্রেণি কক্ষের কার্যক্রম চলছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হাবিবা রহমান খান শেফালী বলেন, আমাদের এলাকায় বর্তমান সরকারের আমলে স্থাপিত শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষা প্রসারের ব্যাপারে এক মাইলফলক হয়ে থাকেবে। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক। বর্তমান বিশ্বে তার চেয়ে বড় রাষ্ট্রনায়ক আর কেউ নেই। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন। আমরা যা কোন দিন ভাবতে পারিনি নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তিনি তা করে দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শুধু সার্টিফিকেট গ্রহণের জন্য পড়ালেখা করলেই চলবে না। তাদেরকে আগামী ৪র্থ বিপ্লব মোকাবেলার জন্য তৈরী হতে হবে। জেলায় ডিজিটাল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রযুক্তিগত জ্ঞান লাভ করলে দেশে বেকারত্ব অনেক কমে যাবে।
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. রফিকউল্লাহ খান বলেন, নতুন করে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। নেত্রকোনার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও সফল নেতৃত্বের কারণেই অতি দ্রুত শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন, পাঠদান, জমি অধিগ্রহণসহ সকল কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। আশা করছি আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে নিজস্ব অধিকৃত স্থানে অবকাঠামোগত প্রকল্পের নির্মাণ কাজ।