১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:২৬

শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে ভোট দিতে চান সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ১৭ শিক্ষক

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) শিক্ষক সমিতি নির্বাচন আগামী মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর)। চলতি মাসে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৮ জন শিক্ষক এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন কি না এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক সমিতির একটি পক্ষ বলছে, নতুন শিক্ষকদের ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। অন্য একটি পক্ষ বলছে, নিয়োগ পাওয়ার পরপরই সমিতির চাঁদা পরিশোধ করে নতুন শিক্ষকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের রীতি রয়েছে। এমতাবস্থায় ১৮ জন নতুন শিক্ষকের মধ্যে ১৭ জনই সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়ে তাদের ভোটাধিকারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সারওয়ার জাহান বলেন, বিগত বছরগুলোতে নিয়োগ পাওয়ার পরপরই শিক্ষকগণ সমিতির চাঁদা পরিশোধ করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আসছেন। কিন্তু এবারই প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত হলেন। এটা অনাকাঙিক্ষত ও দুঃখজনক।

অন্যদিকে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সস্পাদক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শিক্ষক সমিতির সদস্য হবার চাঁদা নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বেতন থেকে কাটার কথা অথচ তারা এখনো বেতন পাননি।

ভোটাধিকার চেয়ে চিঠি দেওয়া শিক্ষকদের মধ্যে আইন ডিসিপ্লিনের ৫ জন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের ৫ জন, রসায়ন ডিসিপ্লিনের একজন ও চারুকলা স্কুলের ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। তারা গত ২ ডিসেম্বর খুবিতে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। 

এবার এ নির্বাচনে লড়বে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থিত তিন প্যানেল। স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) সমর্থিত প্যানেলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসেনে আরা ও প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস। বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ সমর্থিত প্যানেলে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন ও প্রফেসর ড. তরুণ কান্তি বোস।এবং ন্যাশনালিস্ট টিসার্চ এসোসিয়েশন সমর্থিত প্যানেলে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন প্রফেসর মোঃ খসরুল আলম ও প্রফেসর শরীফ মোহাম্মদ খান। শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রে রাজনৈতিক দলের ব্যানারে অথবা প্যানেল করে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। এজন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৩ পদের বিপরীতে তিন প্যানেলের ৩৯ জন শিক্ষক স্বতন্ত্র প্রার্থীতা জমা দিয়েছেন। প্রার্থীতা জমা দেওয়া সকলেই স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং ন্যাশনালিস্ট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন সমর্থিত।