২৯ নভেম্বর ২০১৯, ১০:২৮

কোটা আন্দোলনকারীদের হেল্প ডেস্কে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৩০

তিতুমীর কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতাকালে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র (কোটা আন্দোলন) কর্মীদের উপর ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে সাড়ে ৯ টার মধ্যে তিন দফায় তাদের উপর হামলা করে ছাত্রলীগ। এঘটনায় ৩০ জন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করছিল বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র নেতাকর্মীরা। পরে সকাল ৯ টার দিকে ছাত্রলীগের একদল কর্মী তাদের উপর চড়াও হন। এসময় চর-থাপ্পর দিয়ে তাদেরকে গেটের বাইরে বের করে দেন ছাত্রলীগ নেতারা। তখন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র কর্মীরা ছাত্রলীগের সহযোগিতা চাইলে ছাত্রলীগ তাদেরকে কলেজ গেটের বাইরে অবস্থান নিয়ে কার্যক্রম চালাতে বলে।

তাদের কথামতো এশিয়া ব্যাংকের সামনে কার্যক্রম শুরু করার কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের নেতারা কোনো কথা-বার্তা ছাড়াই তাদের উপর দ্বিতীয় দফায় অতর্কিত হামলা করে। এতে অনেকেই আহত হন।

এর কিছুক্ষণ পর বাং লাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কর্মীরা লাইব্রেরির সামনে ফেসবুক লাইভ করার সময় ফের তাদের উপর তৃতীয় দফায় হামলা করে ছাত্রলীগ। এতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র তিতুমীর কলেজ শাখার যুগ্ম আহবায়ক সোহেল মৃধা, এনামুল, খোরশেদ, আল-আমীন ও ফোরকান সহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত কয়েকজনকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র তিতুমীর কলেজ শাখার যুগ্ম আহবায়ক সোহেল মৃধা বলেন, আমরা সকাল সাতটা থেকে ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতা করছিলাম। কোনো কারণ ছাড়াই ছাত্রলীগ আমাদের উপর হামলা করেছে।

তবে, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া বলেন, আজ ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচিই ছিল না। আমি নরসিংদির বাড়িতে অবস্থান করছি। আমার সাধারণ সম্পাদকও সেখানে যাননি। তাহলে ছাত্রলীগ হামলা করল কিভাবে? হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ কোনোভাবেই জড়িত নয়।