পরীক্ষার ফরম পূরণ করেনি ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা
- বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:২০ PM , আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:২০ PM
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সাথে একীভূতকরণের দাবিতে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইলেকট্রনক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের প্রায় ১৫৮ শিক্ষার্থী। গত ১৯ নভেম্বর পরীক্ষার ফর্ম পূরণের শেষ দিন থাকলেও এই বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের কোনো শিক্ষার্থী ফর্ম পূরণ করেননি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ইইই এবং ইটিই এর কোর্স কারিকুলাম প্রায় একই হলেও চাকরির ক্ষেত্রে ইটিই এর শিক্ষার্থীরা অবহেলিত হয়। এমনকি টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরের চাকরিগুলোতেও ইইই শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেয়া হয়।
ইটিই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিহাব শাহরিয়ার জানান, ‘চাকরি শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য না হলেও অন্যতম উদ্দেশ্য, যদি সার্টিফিকেট অর্জন করে আমরা স্বাবলম্বী ই না হতে পারি তবে সেই সার্টিফিকেট দিয়ে আমরা কি করবো?’
তিনি আরও বলেন, চাকরির বিষয়টি বিবেচনা করে ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে ইইইতে রূপান্তরিত করেছে কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সেটি করছে না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এবং ইটিই বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান জানান, ‘এখনো রুয়েট, কুয়েট, চুয়েটসহ অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইটিই বিভাগ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেমন ভাবছে প্রকৃত অবস্থা ততটা খারাপ নয়। তাছাড়া এটি আমার এখতিয়ার বহির্ভূত। আমি কেবলমাত্র উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশপ্রাপ্ত হয়েছি এবং তাদের দাবি পূরণের জন্য নতুন উপাচার্য নিয়োগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর থেকে ইইই এর সাথে একীভূতকরণের দাবিতে ক্লাস বর্জন শুরু করে ইটিই শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ২০১০ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস থেকে টেলিকমিউনিকেশন ক্যাডার বিলুপ্তির পর থেকেই ইটিই শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ ক্রমাগত কমছে।