১২১-এ পা রাখলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ
১২১ বছরে পা রাখলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। রায় বাহাদুর আনন্দচন্দ্র রায়ের হাত ধরে ১৮৯৯ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন ও সেরা এই বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন ব্র্রিটেনের রানী ভিক্টোরিয়ার নামানুসারে কলেজটির নামকরণ করা হয়।
ব্রিটিশ ভারতে প্রথম পর্যায়ে যে কয়টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ তার অন্যতম। এটাই ছিল মূলত পূর্বাঞ্চলীয় অন্ধকার যুগের শিক্ষা-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।
কান্দিরপার রানীদীঘির পাড়ে কলেজের ইন্টারমিডিয়েট এবং ধর্মপুরে অনার্স শাখা নিয়ে দুই ভাগে কলেজটি। প্রতিদিন প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় কলেজটি মুখরিত হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে ২২টি বিষয়ে অনার্স ও ১৯টি বিষয়ে মাস্টার্স পড়ানো হয় এখানে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিকাশের দিক থেকেও এগিয়ে আছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ। বর্তমানে এখানে ১২টি সক্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন। সংগঠনগুলো শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশে অবদান রাখছে।
ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে কলেজটির ভূমিকা ছিল অনন্য। উপমহাদেশের বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ শচীন দেববর্মণ, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, অদ্বৈত্য মল্লবর্মণ, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, হানিফ সংকেত, বিদ্যা সিনহা মিম, সংগীত শিল্পী আসিফ আকবরের মতো অসংখ্য খ্যাতনামা সাবেকদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে ভিক্টোরিয়ার এই ক্যাম্পাস।
শত বছরের শিক্ষা ও সংস্কৃতি ধারন করে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ আজ ১২১ বছরে পদার্পন করেছে। নবীন, প্রবীন সকলেরই প্রত্যাশা যেনো শিক্ষা ও সংস্কৃতির বাহন কলেজটি আজীবন শিক্ষা ও মানবতার বার্তা দূরদূরান্তে পৌঁছে দেয়। হাজার বছর টিকে থাক প্রাণের প্রতিষ্ঠান এমন শুভ কামনা নবীন-প্রবীণ, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের।