২০ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:০৩

১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের আল্টিমেটাম বেরোবি শিক্ষকের

মাহমুদুল হকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ  © ফাইল ফটো

আগামী সাতদিনের মধ্যে আদালতের রায় পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন না করলে দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করবেন সুপ্রীম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহমুদুল হক। জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি, বেতন-ভাতা ও ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ পূর্ণাঙ্গ রায় বাস্তবায়ন চেয়ে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর করা আবেদনে এই আল্টিমেটাম দেন মাহমুদুল হক।

রেজিস্ট্রার বরারবর দেয়া চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ক্ষতিপূরণ ও অবৈধ নিয়োগকে বাতিল ঘোষণা চেয়ে আরেকটা মামলা করবেন তিনি। ক্ষতিপূরণ দশ কোটি টাকা দিতে হবে। অপরাধ সংগঠনকারী (যিনি নিয়োগে জালিয়াতি করেছেন), অপরাধ-এর সুবিধাভোগী এবং অপরাধ-এর সুবিধাভোগীকে রক্ষার চেষ্টাকারীর নিকট থেকে আদালতের মাধ্যমে এ দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে।

চিঠিতে তিনি আরও জানান, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রভাষক পদে (স্থায়ী) গত ১০ মার্চ তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরপর জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি, বেতন-ভাতা ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়ে ১৪ মে তিনি বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন পযর্ন্ত তাকে জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি না দেওয়ায় বিভাগে ও বিশ্ববিদ্যালয়-এর কাজ করতে গিয়ে তিনি বিভিন্নভাবে অধিকার বঞ্চিত ও অপমাণিত হচ্ছেন। আদালতের রায় পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না করায় এমনটি ঘটছে। দীর্ঘ সাত বছর নিয়োগ না পেয়ে এবং আইনি লড়াই চালাতে গিয়ে আমি জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি, বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছি এবং আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।

এবিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তাফা কামালের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে বুধবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা আংশিক রায় বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। বাকি বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন।’