০৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:৫৩

নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চায় শিক্ষক সমিতি

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) থেকে পদত্যাগ করা উপাচার্য অধ্যাপক খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

শনিবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. আবু হাদী নূর আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা শিক্ষকসমাজের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলেই তাঁকে অপসারণের সুপারিশ করেছে। শিক্ষক সমিতি সাবেক এই উপাচার্যের অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিচার দাবি করছে।

মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযুক্ত সাবেক ওই উপাচার্যের বিরুদ্ধে ইউজিসি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলে গণমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছি। যা আমাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানে আঘাত হেনেছে। তাই বিষয়টির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বায়োটেকনোলজি বিভাগে যোগদানের বিষয়টি স্থগিত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান বলেন, নাসিরউদ্দিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষক ছিলেন। নিজের বিভাগে যোগদান করতে চাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তবে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

শিক্ষক সমিতির এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বক্তব্য জানতে রোববার তাঁর মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। যোগদানের আবেদনপত্রের সঙ্গে তিনি ছুটির আবেদন করেছেন বলে বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর পূর্বের কর্মস্থল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগে যোগদানের আবেদন করেন নাসিরউদ্দিন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাসিরউদ্দিনকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও নেতিবাচক মন্তব্য করেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গত ৩ অক্টোবর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে নাসিরউদ্দিনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁর অপসারণ দাবি করেছেন প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও বেশ কিছু শিক্ষক।