লিফট কেনার অভিজ্ঞতা নিতে ইউরোপ যাচ্ছেন ভিসি

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান  © ফাইল ফটো

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান আরও নয় শিক্ষক নিয়ে লিফট কেনার জন্য অভিজ্ঞতা নিতে ইউরোপের দুটি দেশে যাচ্ছেন। তারা প্রাক চালান পরিদর্শন বা প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন হিসেবে ইউরোপের সুইজারল্যান্ড ও স্পেন সফর করবেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে বিষয়গুলো জানা গেছে।

সম্প্রতি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের নোটিস বোর্ডে বিদেশ সফরকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবির সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসি বরাবর সেনজেন ভিসার জন্য আটজনের নামে পৃথক একটি করে এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দেন।

তবে রেজিস্ট্রারের আবেদনে স্বাক্ষর করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ আনিসুর রহমান। উল্লেখ করা হয়, প্রি-শিপপেমন্ট ইন্সপেকশনের জন্য চলতি মাসের ২০ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত ওই দুই দেশে সফরে থাকবেন তারা। এ সময় তাদের বিমান ভাড়া থেকে যাবতীয় ব্যয় বহন করবে ক্রিয়েটিভ ইঞ্জিনিয়ার্স।

যারা সফরে যাচ্ছেন তারা হলেন- ভিসি প্রফেসর ড. এ এইচ এম মুস্তাফিজুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবির, প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ইঞ্জিনিয়ার মো. হাফিজুর রহমান, সহকারী প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুবুল ইসলাম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল রানা, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহাবুদ্দিন ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুব্রত কুমার দে।

এদের মধ্যে সাতজনেরই লিফট সম্পর্কে কোনো কারিগরি জ্ঞান নেই। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে চলছে কানাঘুষা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সমাজবিজ্ঞান ও ব্যবসা অনুষদের জন্য ১০ তলা করে দুটি ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এখনো ভবন দুটির নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এর মধ্যেই লিফটের জন্য বিদেশ সফর করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সাত শিক্ষক ও দুই প্রকৌশলী।

ইঞ্জিনিয়ার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি উন্নয়ন প্রকল্প চলছে। এর মধ্যে একটি প্রকল্প আগামী বছরের জুনে শেষ হবে। অন্যটি ২০২৩ সালের জুনে শেষ হবে। এসব প্রকল্পে বিভিন্ন ভবনের জন্য সব মিলিয়ে ১৫টি লিফট প্রয়োজন। আর সে জন্যই আমরা ইউরোপের দুটি দেশে যাচ্ছি।’

তিনি জানান, দুটি ক্যাটাগরিতে লিফট আনা হবে। এর মধ্যে একটি ক্যাটাগরিতে ধারণক্ষমতা রয়েছে ১০০০ কেজি ও অন্যটি ১২৫০ কেজি। সর্বমোট ব্যয় হবে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। তবে বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে জানতে চাইলে ভিসি প্রফেসর ড. এ এইচ এম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি যাচ্ছি না। নয়জনের একটি টিম যাবে।’

ক্রিয়েটিভ ইঞ্জিনিয়ার্সের এরিয়া মার্কেটিং অফিসার জুবায়ের আহমেদ রিজভী কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিফট সরবরাহের কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৫৫০০৩ (বাণিজ্যিক) মডেলের লিফট কিনবে। ১০০০ কেজির প্রতিটি লিফট সুইজারল্যান্ড থেকে আনতে খরচ হবে প্রায় ৫৮ লাখ টাকা। আর ১২৫০ কেজির জন্য ৭৫ লাখের কাছাকাছি।’


সর্বশেষ সংবাদ