সুইসাইড নোট লিখে শাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক শিক্ষার্থী ‘সুইসাইড নোট’ লিখে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম বকুল দাস (২০)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্ট্যাডিস (পিএসএস) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও শাহ পরান আবাসিক হলের বি ব্লকের ১২০ নম্বর রুমে থাকতেন।
বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বকুল হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সোয়াগাঁও গ্রামের রামু কুমার দাসের ছেলে। শাবি প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমদ বলেন, থানা থেকে বলা হয়েছে বকুল বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
বকুলের এক রুমমেট জানান, বুধবার রাত দেড়টার দিকে বকুল রুমের মধ্যে বমি করতে থাকে। তখন তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে বকুল তাদের জানায়, সে বিষ পান করেছে।
জালালাবাদ থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বকুলের বেডের নিচ থেকে এটা সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। নোটে লেখা আছে, আমি স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে বিষ খেয়ে নিজের মৃত্যুকে স্বীকার করে নিচ্ছি। আমার মৃত্যুর জন্য আমার কোনো রুমমেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বন্ধু-বান্ধব কেউ দায়ী নয়। আমি কারো কারণে মনে আঘাত পেয়ে বিষ খাই নাই। আমি নিজের ইচ্ছায় বিষ খেয়েছি। জীবনের প্রতি আমার ধিক্কার চলে আসছে। দুঃখ, কান্না, অবহেলা আমার মস্তিষ্ক আর নিতে পারছিল না। তাই আমি স্বেচ্ছায় মারা গেছি।
জালালাবাদ থানার ওসি অখিল উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত চলছে, তদন্তের আগে আমরা কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের (২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের) ছাত্র সাইফুর রহমান প্রতীক আত্মহত্যা করেন। সে সময় প্রতীকের পরিবার দাবি করে মাস্টার্সে থিসিস সুপারভাইজর না পাওয়া ও বিভিন্ন কোর্সে কম নম্বর পাওয়ার হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেন তিনি।