২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:০১

ছাত্রলীগ নেতাকে না জানিয়ে হলে ওঠায় শিক্ষার্থীকে মারধর

  © ফাইল ফটো

ছাত্রলীগ নেতাকে না জানিয়ে হলে ওঠায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সৈয়দ আমীর আলী হলে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাজেদুল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলে শাখা ছাত্রলীগের উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান মো. তারেক, ছাত্রলীগকর্মী আল-আমিন এবং হৃদয় সাহা।

ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীর অভিযোগ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমীর আলী হলের ৩২৯ নম্বর রুমে তার বন্ধু আলী মুরশেদ সজীবের সঙ্গে থাকছেন। হল প্রাধ্যক্ষকেও তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেস থেকে হলে আসবাবপত্র নিয়ে আসলে ছাত্রলীগ নেতা তারেক জানতে পারেন। তারেক সাজেদুলের কাছে কার মাধ্যমে হলে ওঠেছে জানতে চায় এবং রাতে তার রুমে এসে দেখা করতে বলে। কিন্তু সাজেদুল তার রুমে না যাওয়া শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী আল-আমিনের মাধ্যমে ডেকে পাঠায়। সাজেদুল তারেকের রুমে যাওয়ার পর না জানিয়ে কেন হলে উঠেছে জিজ্ঞেস করেই অভিযুক্তরা তাকে মারধর করে।

সাজেদুল করিম বলেন, আমার মোবাইলের রেকর্ডিং চালু ছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। আমার ফোনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ছিল যা তারা ডিলিট করে দেয়। তাকে জোরপূর্বক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে নেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেন সাজেদুল।

ফোন রেকর্ডিং আগে থেকেই চালুর করার কারণ জানতে চাইলে সাজেদুল বলেন, আমার মনে হয়েছিল আমাকে ডেকে মারধর কিংবা চাঁদা দাবি করবে। তাই আমি ফোন রেকর্ডিং চালু করে রেখেছিলাম।

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে হাসান মো. তারেক বলেন, সাজেদুল এই হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী। সে হল প্রভোস্টকে না জানিয়ে হলে থাকছে। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ডেকে নিয়ে জানতে চেয়েছি কার মাধ্যমে হলে উঠেছে। এসময় সাজেদুল আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তার ফোনটি দিতে বলি। ফোন দিলে দেখি মোবাইল ফোনের রেকর্ডিং চালু। তাকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, সাজেদুলকে হলে সিট দিতে তার বিভাগে একজন শিক্ষক আমাকে অনুরোধ করেছিল। এরপর সাজেদুল আমার সঙ্গে দেখা করতে আসলে আমি তাকে লিখিত আবেদন করতে বলেছি। সিট খালি হলে তাকে ব্যবস্থা করে দিবো বলি। ছেলেটি আমার কাছে আর আসেনি এবং কোনো আবেদন করে নি।