২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:১০

৫ মাস ধরে উপাচার্য শূন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

  © ফাইল ফটো

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) দীর্ঘ পাঁচমাস ধরে উপাচার্য শূন্য রয়েছে। টানা ৩৫ দিন ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত ২৯ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এস এম ইমামুল হককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই থেকে অভিভাবকহীন নবীন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. একেএম মাহবুব হাসান উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তাঁরও মেয়াদ আগামী ১০ অক্টোবর শেষ হচ্ছে। ফলে রেজিস্ট্রার পদ নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে অস্থিতিশীলতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যা ও শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্য উদ্বেগ, উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভিসিবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক লোকমান হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন একজন স্বৈরাচারী, দুর্নীতিবাজ উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। এ আন্দোলন ছিলো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে মুক্তির আন্দোলন, নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ৩৫ দিন অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে প্রমাণ করেছি যে, আমরা ছিলাম ন্যায়ের পক্ষে, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির পক্ষে।’

তিনি আরো বলেন, ‘টানা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ২৯ এপ্রিল উপাচার্যকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই থেকে উপাচার্যের সকল কার্যক্রম রুটিন দায়িত্ব হিসেবে আমাদের ট্রেজারার স্যার ড. এ কে এম মাহবুব হাসান পালন করছেন। কিন্তু তাঁর সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্য পরিচালনা করতে পারছেন না। এমতাবস্থায় আমাদের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ পিছিয়ে পড়ছে এবং শিক্ষার্থীদেরও অনেক কাজে জটিলতার শিকার হতে হচ্ছে।’

লোকমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীই চায়, বিশ্ববিদ্যালয় যেন সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। সকল শিক্ষার্থী যেন নিজের শিক্ষা এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে সঠিকভাবে অংশ নিতে পারে। নতুন উপাচার্যের নিয়োগ ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গতিশীলতা সৃষ্টি হবে না। তাই উপাচার্যের নিয়োগ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য।’

শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও আচার্য নতুন উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করবেন। অবশ্য এর আগে উপাচার্য নিয়োগের একটা গুঞ্জন শোনা গেলেও অজানা কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে।