আন্দোলনের নামে ঝোপ-ঝাড়ে অশালীন কাজ হচ্ছে (ভিডিও)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা অশালীন কাজে জড়িয়ে পড়ছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বয়ং উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। এছাড়া আন্দোলন হওয়ার পেছনে সাংবাদিকদেরও দায়ী করেছেন উপাচার্য। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকরা বলে দিচ্ছেন, এভাবে দাঁড়াও, ওভাবে নাচ। সংবাদ কাভার (সংবাদ) বন্ধ রাখেন, দুই ঘন্টায় সমাধান হয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার বেসরকারি টেলিভিশন যমুনাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন উপাচার্য। এদিকে দুর্নীতি, অনিয়ম, নারী কেলেংকারী, বাক স্বাধীনতা হরণের অভিযোগে উপাচার্যের পদত্যাগ সহ ১৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্য বলেন, আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের বের করতে দেবেন না, অথচ দেখেন তারা রাস্তায় রাস্তায়, ঝোপে-ঝাড়ে অশালীন কাজ করে বেড়াচ্ছে এবং সারারাত থাকছে। এবং তাদের ইনভাইটেড গেস্ট, অছাত্ররাও এসে রাত কাটাচ্ছে। হোয়াট ইস দিস?
নাসির উদ্দিন বলেন, ভিসি অপসারণের জন্য আপনারা দাবি দিতে পারেন, মানববন্ধন করতে পারেন। কিন্তু আড়াই কোটি টাকার ভুল তথ্য পেপারে দিয়ে ভিসি তাড়াতে হবে। এটা তো ঠিক না। আমি একজন ভাইস চ্যান্সেলর চলে গেলে সমস্যা নেই, চলে যাব। কিন্তু এমন করলে তো ৪২ ভাইস চ্যান্সেলরের একজনকেও রাখা যাবে না। তিন মাস পর পর নতুন ভিসি নিয়োগ দিতে হবে।
সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, আমি সাংবাদিকদের ভাইদের বললাম, আপনারা আমার সাথে বসেন। সমাধান ৫ মিনিটে। আপনারা এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। কিন্তু আপনারা আমাদের কথাগুলো লিখছেন না। আপনারা তাদেরকে (আন্দোলনরত) ডিরেকশন দিচ্ছেন। তাদের বক্তব্য লিখে দিচ্ছেন। বলে দিচ্ছেন, এভাবে দাঁড়াও, এভাবে নাচ। এটা তো ঠিক না। হোয়াট ইস দিস?
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের কন্ট্রোল নেই, সব ছেলে-মেয়ারা নিয়ে নিছে। আমাদের দু’জন অফিস যাচ্ছিল, তাদেরকেও ‘রাজাকার’ ‘রাজাকার’ বলে গালিগালাজ দিয়েছে; অথচ তারা বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিল। আরেক অফিসার ফাইল আনতে গেলে তার সাথেও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল করেছে ছাত্রীরা। মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘একজনের উপাচার্যের কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য কোনো মতেই কাম্য নয়। তার প্রতি আহবান রইল। তিনি যেনো নিজে এসে দেখে যান আমরা রাতে কি করি।’