ইবি প্রক্টরের অপসারণ চেয়ে ফটকে তালা দিলো ছাত্রলীগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) যোগদানকরা নতুন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের অপসারণের চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের তালা লাগিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করতে থাকে তারা। এতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহগামী ক্যাম্পাসের বাস আকটা পড়ে। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের অপসারণের দাবি নিয়ে দুপুর ১ টার দিকে উপাচর্য অধ্যাপক ড. হরুন উর রশিদ আসকারীর সঙ্গে দেখা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা অধ্যাপক ড. মাহবুবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবি জানান।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোন আশ্বাস না পাওয়া প্রশাসন ভবন থেকে বেরিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। মিছিলে অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের বিরূদ্ধে বিভিন্ন প্রতিবাদি শ্লোগান দিতে থাকেন তারা।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে অবস্থান নিয়ে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন নেতাকর্মীরা। এতে আটকা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী গাড়িগুলো।
এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহে অবস্থানকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের মধ্যে অনেকে লাইনের গাড়িতে করে চলে যেতে দেখা যায়। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিকেল ৫টার দিকে তালা খুলে দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এদিকে প্রধান ফটকের তালা খুলে দেওয়ার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন তারা। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত ছাত্রলীগের আন্দোলন চলছিল।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ড. মাহবুবর সববময় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। জাতির পিতার হাতে গড়া একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী একজন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে দায়িত্বে থাকতে পারেনা। এসময় তারা ড. মাহবুবর রহমানের বিরূদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী এ বিষয়ে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জিম্মি করে কোনো দাবি আদায় করা যায়না। ছাত্রলীগকে বলা হয়েছে একটু সময় দিতে। যোগ্যতা সম্পন্ন কাউকে পেলে নতুন প্রক্টর নিয়োগ দেওয়া হবে।'
প্রসঙ্গত, গত ২১ সেপ্টেম্বর ৩য় বারের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে যোগদান করে অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান। দায়িত্ব নেয়ার পর ওইদিনই ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা উপাযাচার্যের নিকট তার অপসারণের দাবি জানান।