বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৪ ধারা জারির অনুরোধ বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসনের

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারির অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এছাড়া ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য জেলার পুলিশ সুপারের কাছে চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি জানা গেছে। অফিস আদেশে আগামী ৩ অক্টোবরের পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছে উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত যত বাধাই আসুক তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের আন্দোলন থামিয়ে দিতে শুরু থেকেই প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিল এখন আবার ক্যাম্পাসই বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যত যাই করুক না কেন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ করলেও আমরা ক্যাম্পাস ছাড়বো না। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন আমরা চালিয়ে যাবো। ১৪৪ ধারা জারি করুক আর মিলিটারি নামাক আমাদের কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। উপাচার্য পদত্যাগ করলেই আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসবো।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বশেমুরবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নুরউদ্দিন আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এখানে দুইটি গ্রুপ বিদ্যমান। যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে। তাই ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাস এলাকায় ১৪৪ ধারা জারিসহ পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করে ক্যাম্পাসে শান্তি বজায় রাখতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।

ক্যাম্পাস বন্ধ থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যদি কোন হামলা হয় তাহলে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু ক্যাম্পাস বন্ধ তাই হামলার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেবে না। আর হামলার আশঙ্কা থেকেই তো ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামিয়ে দিতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এবিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি।


সর্বশেষ সংবাদ