১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৪৪

জিনিয়াকে বহিষ্কার স্বৈরাচারী আচরণ ছাড়া আর কিছু না

  © টিডিসি ফটো

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাংবাদিক ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার ও সাংবাদিক শামস জেবিনের ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‌‌'শাবি প্রেসক্লাব'। একই সাথে উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিনের স্বৈরাচারমূলক আচরণের জন্য নিঃশ্বর্ত ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ আহ্বান জানান তারা।

সমাবেশে শাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি জিয়াউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার আব্বাস আলী ও বর্তমান কোষাধ্যক্ষ এনামুল হাসান নোমান।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফেসবুকে কী পোস্ট দিল তার আলোকে বহিষ্কার করা এটা একটি স্বৈরাচারী আচরণ ছাড়া আর কিছু না। এ জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হলো। একজন নারী সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে অকথ্য ভাষায় কথা বলেছেন যা একজন উপাচার্য হিসেবে এ ধরনের আচরণ কখনো কাম্য নয়। আবার তার সমর্থনকারী আরেক সাংবাদিক শামস জেবিনের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। এর কোনো সমাধান বা নির্যাতনকারীদের সনাক্ত করা হয়নি। অথচ তাকে দোষী সাব্যস্ত করেই বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ সময় উপাচার্যের এ ধরনের আচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের আহ্বান জানান শাবি প্রেসক্লাবের নেতারা।

এ দিকে বাংলাদেশ ক্যাম্পাস জার্নালিস্ট ফেডারেশেন এর ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের আালোকে গতকাল জিনিয়ার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে বশেমুরবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উপাচার্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করেই বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করেছেন। বাংলাদেশ ক্যাম্পাস জার্নালিস্ট ফেডারেশেনের কর্মসূচির আলোকে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, বশেমুরপ্রবিতে কর্মরত সাংবাদিক ফাতেমা তুজ জিনিয়া ফেসবুকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ কী?’ এ পোস্ট করায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার ও হয়রানি করা হয়। দিকে তার সঙ্গে উপাচার্য অকথ্য ভাষায় যে আচরণ করেছেন তা আসলে কাম্য নয়। অপরদিকে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সাংবাদিক শামস জেবিনের ওপর নির্যাতন করা হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের আচরণের জন্য উপাচার্যের পদত্যাগ ও নির্যাতনকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবিতে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।