০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:২৮

আমাজন ধ্বংস হলে বায়ু কিনতে হবে আমাদের

আমাজনের মত বন ধ্বংসকারী  কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদেরকে পানি কেনার মতো বায়ুও কিনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশবীক্ষণের বক্তারা।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জয় বাংলা ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত পরিবেশবীক্ষণ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ কথা বলেন। ‘আমাজন-সুন্দরবন এবং আমাদের দায়বদ্ধতা’ স্লোগানকে সামনে রেখে বন ধ্বংসের প্রতিবাদে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে আমাজন, সুন্দরবন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বন ধ্বংসের নিন্দা জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র গৌরচাঁদ ঠাকুর বলেন, মাটি, পানি ও বায়ু মানুষের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। কিন্তু সভ্যতার বিকাশ ও সামাজিক বিবর্তনের সাথে সাথে আমরা এখন আর মাটি ও পানি বিনামূল্যে পাই না৷ আমাজনের মত বন ধ্বংসের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো বায়ুও আমাদের কিনে নিতে হবে।

গৌরিচাঁদ বলেন, আমাজন একটি রেইন ফরেস্ট৷ পৃথিবীর মোট কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের পাঁচ শতাংশ গ্রহণ করে বনটি৷ এটি ধ্বংস হলে পৃথিবী হুমকির মুখে পড়বে৷

এ সময় রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও ক্যাম্পাসে গাছ কাটার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আবার রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে সুন্দরবন ধ্বংসের পায়তারা চলছে৷ একইসাথে সৌন্দর্য বর্ধনের কথা বলে রাতের আঁধারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃক্ষ উজাড় করছে প্রশাসনসহ নানা মহল। ক্যাম্পাসে বৃক্ষ উজাড় বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

মানবন্ধনে লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী মাহবুবা জাহান রুমি বলেন, বন ধ্বংসের নানামূখী পায়তারার কারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে আমাদের৷ এটি বন্ধ না হলে আমাদেরকেই হুমকির সম্মুখীন হতে হবে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র প্রত্যয় নাফাকের সঞ্চালনায়  মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পালি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ইউ কে চিং মারমা, বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবির হাসান তিতাস ও ব্যাংকিং ও ইন্সুরেন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র হিমু প্রমুখ।

এদিকে, মানববন্ধন শেষে প্রতিকী শোকর‌্যালি বের করেন শিক্ষার্থীরা। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণের মাধ্যমে শেষ হয়।