ইবিতে ফের গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ
এক দিনের ব্যবধানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবারও গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে প্রথমে বিশ্বববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের দক্ষিণ ব্লকের পেছনে বিকট শব্দে একটি ককটেল বিষ্ফোরিত হয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই এলাকায় গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে আবাসিক ছাত্রদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, রাতে কোর্স ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে পুরো হল কেঁপে ওঠে। পরে আবারও শব্দ শুনতে পাই। এমন ঘটনায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এসব থেকে পরিত্রাণ চাই।
জানা যায়, লালন শাহ হলের দক্ষিণ ব্লকের ২৩৫ নম্বর রুমেই ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব থাকেন। ওই ব্লকের পেছনেই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে।
রাকিবুল ইসলাম বলেন, তিনি ঘটনার রাতে হলে ছিলেন না। ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে একটি মহল।
লালন শাহ হলের শিক্ষার্থীরা জানান, রাত নয়টার দিকে দক্ষিণ ব্লকের পেছনে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠে পুরো হল এলাকা। এতে হলে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
বিস্ফোরণের আনুমানিক ১৫ মিনিট পর ইবি থানা পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাড়তি মনযোগ আকর্ষণ করাতেই কেউ না কেউ এগুলো করছে। তাদের শণাক্তের চেষ্টা চলছে। এছাড়া পুলিশী তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ইবি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি জানানোর পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা খোঁজখবর অব্যাহত রাখছি। এ বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
উল্লেখ্য, দলীয় কর্মীকে মারধরের অভিযোগে রোববার মধ্যরাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রদের আবাসিক হলের সামনে কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় ৭-৮ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। পরে সোমবার লালনশাহ হলসহ তিনটি আবাসিক হলে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েও কোনো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সক্ষম হয়নি।