কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অস্ত্র ঠেকিয়ে শিক্ষার্থীর মোবাইল ছিনতাই
- শাহাদাত বিপ্লব, কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০৪:৫৭ PM , আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০৪:৫৭ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অস্ত্র ঠেকিয়ে এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাই এবং সাথে থাকা তার বান্ধবীকে থাপ্পড় দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সানসেট ভ্যালিতে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দাবি, সানসেট ভ্যালিতে যাওয়ার সময় নিকটস্থ বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সামনে দুজন নিরাপত্তাকর্মী থাকলেও ছিনতাইয়ের সময় চিৎকার শুনেও কেউ এগিয়ে আসেনি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার শিকার অর্থনীতি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাশেদুল আলম সিফাত। তিনি জানান, আমি ও আমার বান্ধবী রাত ৮টার দিকে সানসেট ভ্যালিতে ঘুরতে যাই। সেখানে বসার কিছুক্ষণ পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছন দিক দুইজন বহিরাগত সন্ত্রাসী এসে আমাদের ধমকাতে শুরু করে।
একপর্যায়ে তারা দুজন ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে আমাদের যা আছে দিতে বলে এবং আমার বান্ধবীর ব্যাগ নিয়ে টানাটানি শুরু করলে আমি বাধা দিই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের একজন আমার বান্ধবীকে থাপ্পড় মারে এবং আমার হাতে থাকা ‘অপ্পো-এ৭১’ ফোনটি কেড়ে নিয়ে চলে যায়। আমি দৌঁড়ে তাদের গতিরোধ করতে চেষ্টা করেও পেরে উঠিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনাস্থল সানসেট ভ্যালিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকে নিরাপত্তা প্রাচীরের কোনো অস্তিত্ব নেই। এসব স্থান দিয়ে স্থানীয় লোকজন, তাদের গরু-ছাগল ও বহিরাগতরা অবাধে আসা যাওয়া করছে। তাদের পাশাপাশি স্থানীয় চুরি-ছিনতাইকারীরা প্রবেশ করছে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে। এতে করে কিছুদিন পরপরই এমন ধরনের চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এসব ব্যাপারে প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাবিয়ে তুলছে শিক্ষার্থীদের।
ঘটনার বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে শিক্ষার্থীদের সাথে এমন ঘটনা প্রশাসনের নিরাপত্তাহীনতার চরম ব্যর্থতার পরিচয়। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া। না হয় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আমাকে এখনো কিছু জানায়নি। ভিন্ন সূত্রে ঘটনাটি জানার পর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে আলোচনা করেছি। পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে শীঘ্রই ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা টহল বৃদ্ধি করা হবে।’