বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর: গ্রেফতার ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ফয়সাল আযম ফাইন ও সর্দারপাড়া এলাকার ফিরোজ। শনিবার পার্ক মোড় থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টির তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুর তাজহাট থানার ওসি শেখ রোকনুজ্জামান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২১ আগস্ট আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হলের বেশ কয়েকটি কক্ষে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুর করে ছাত্রলীগ নেতারা।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল ২৩ আগস্ট ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সদস্য ফয়সাল আযম ফাইনকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবে সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল হোসেন, বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মিথিশ বর্মন, ম্যানেজম্যান্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের সভাপতি ইমরান কবীর, ছাত্রলীগ নেতা ফজলে রাব্বী, জিসান, সুব্রত ঘোষ অর্নব, এলিট ও গোলাম মুর্শিদ। মামলায় ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও মামলার বাদী তুষার কিবরিয়া বলেন, ‘ফয়সাল আযম ফাইনের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা প্রথমে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। পরে তারা তিনটি রুমে হামলা করে জাতির জনক ও তার কন্যার ছবি ভাংচুর করে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগে বিদ্রোহী গ্রুপ থাকতেই পারে। কিন্তু তারা আগস্ট মাসে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে বাধা দিতে পারে না। একই সাথে আকস্মিকভাবে তারা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে হামলা করে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করার মাধ্যমে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুজন আসামী গ্রেফতার হয়েছে। আশাকরি, প্রশাসন বাকি আসামীদেরও গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করবে।
রংপুর তাজহাট থানার ওসি শেখ রোকনুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ছবি ভাংচুরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামীসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।