০৪ আগস্ট ২০১৯, ২৩:৪৩

জাবির ভর্তি আবেদন শুরু ৮ আগস্ট, পরীক্ষা ২২ সেপ্টেম্বর

  © ফাইল ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রথম বর্ষের স্নাতক ভর্তি পদ্ধতিতে কলা ও মানবিক অনুষদে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিন্ন মেধা তালিকা এবার থেকে প্রণয়ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আবু হাসান।

রবিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিনেট কক্ষে শিক্ষা পর্ষদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের চার বছর মেয়াদী স্নাতক সম্মানে ভর্তি কার্যক্রম সম্পর্কিত আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আবু হাসান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আগামী ৮ আগস্ট ভর্তির আবেদন শুরু হয়ে শেষ হবে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। ছয়টি অনুষদ ও তিনটি ইনস্টিটিউটের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর, চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। এছাড়া প্রতিবারের ন্যায় এবারও শিফট পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং থাকছে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ।

আবু হাসান আরো জানান, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বিভাগ ভিত্তিক শিক্ষার্থী ভর্তি সংখ্যা ও ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতার বিষয়ে কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদেরকে ৯টি ইউনিটের জন্য পৃথকভাবে ফরম পূরণ করতে হবে।

ইউনিটগুলো হলো–এ ইউনিট (গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ), বি ইউনিট (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ), সি ইউনিট (কলা ও মানবিকী অনুষদ), সি১ ইউনিট (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকলা বিভাগ), ডি ইউনিট (জীববিজ্ঞান অনুষদ), ই ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ), এফ ইউনিট (আইন অনুষদ), জি ইউনিট (ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), এইচ ইউনিট (ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকেনোলজি) এবং আই ইউনিট (বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট)।

এর মধ্যে এ, বি, সি, ডি এবং ই ইউনিটের প্রতিটির জন্য ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সি১, এফ, জি, এইচ এবং আই ইউনিটের প্রতিটির জন্য ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরে ছিল যথাক্রমে ৫৫০ ও ৩৫০। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://ju-admission.org/)।

এদিকে, জাবি ভর্তি পরীক্ষায় বৈষম্যের শিকার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কর্তৃক দায়ের করা হাইকোর্টের রিটের প্রেক্ষিতে গত ১১ মার্চ বিচারক সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হাইকোর্ট আলাদা মেধা তালিকা তৈরি না করে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার সঙ্গে সম্মিলিতভাবে পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর থেকে কলা ও মানবিক অনুষদে আর কোন বৈষম্য থাকবে না, বরং মেধার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে বলে জানান আবু হাসান।

কলা ও মানবিক অনুষদে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হচ্ছে দাবি করে গত ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উকিল নোটিশ প্রদান করে তিন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী (সাজ্জাদুল ইসলাম, নওসাজ্জামান ও রাকিব হোসেন)। উকিল নোটিশের জবাব না দেয়ায় ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। পরে ৪ নভেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।