০৪ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৩৪

ক্যাম্পাসে বহিরাগতের দৌরাত্ম্য, আহত শিক্ষার্থী

মারামারির পর পালিয়ে যাচ্ছে বহিরাগত (বায়ে) আহত শিক্ষার্থী রোকন (ডানে)  © টিডিসি ফটো

ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি থাকলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তা মানছে না বহিরাগতরা। ক্যাম্পাসে প্রায় সবসময়ই তাদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। এর ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে নতুন নতুন অপ্রীতিকর ঘটনা।

জানা যায়, রবিবার (৪ আগস্ট) ক্যাম্পাসে প্রেম ঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের মধ্যে মারামারির সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম সংলগ্ন ক্রিকেট মাঠের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

এতে মারামারি থামাতে গিয়ে মাথায় লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন রোকনুজ্জামান রোকন নামের এক শিক্ষার্থী। রোকন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বহিরাগত এক প্রেমিক যুগল ক্যাম্পাসের ক্রিকেট মাঠের পাশে ঝোঁপে বসে ছিল। এসময় ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী শেখপাড়ার ইব্রাহীম খাঁ’র ছেলে আকাশ, এনারুল ইসলামের ছেলে ইমন ও রাজু ড্রাইভারের ছেলে সজিবসহ কয়েকজন এসে বহিরাগত ওই যুগলের উপর হামলা করে।

এসময় তারা কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে ওই প্রেমিককে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে এ ঘটনা দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোকন তাদের আটকাতে গেলে লাঠির আঘাত গুরুতর জখম হন তিনি। এ দেখে বহিরাগতরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে আহত রোকন বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় তাদের থামাতে গেলে আমার মাথায় লাঠির আঘাত লাগে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) সহযোগী অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আহত রোকন বহিরাগতদের পূর্ব পরিচিত ছিল। আমরা সবার পরিচয় সংগ্রহ করেছি। বিষয়টি যাচাই বাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের উপর জিরো টলারেন্স থাকা সত্ত্বেও পেয়ারাতলা ও মফিজ লেকে এলাকায় তাদের প্রায়ই আনাগোনা দেখা যায়। এসব এলাকায় ঝোঁপঝাড় থাকায় বহিরাগতরা এর সুযোগ নেয়। প্রায়ই এসব স্থানে তাদের অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে দেখা যায়।

সার্বিক বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের উপর জিরো টলারেন্স অব্যাহত আছে। তারপরও মাঝে মাঝে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ছে। এ ব্যাপারে প্রক্টরিয়াল বডি সর্বদা সজাগ রয়েছে।’