বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কালো ছায়া দূর করেছি: যবিপ্রবি ভিসি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন বলেছেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর অনেক কালো ছায়া ছিল, ধীরে ধীরে সেগুলো দূর করতে সক্ষম হয়েছি। আমি শেষ পর্যন্ত শিক্ষক হিসেবেই থাকতে চাই। আমাকে কেউ ভাইস চ্যান্সেলর বা প্রশাসক বানাবেন না। তাহলে কারোর জন্য শুভকর হবে না।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে করে অধ্যাপক আনোয়ার বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়তে হলে, প্রথমে তোমাদের স্বাধীন মানুষ হতে হবে। যে মানুষ স্বাধীন নয়, তার দ্বারা কিছুই করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সাহসীদের মৃত্যু শুধু একবারই হয়। যারা ভীতু, কাপুরুষ তারা প্রতিদিন মরে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আমি একটি স্বাধীন ভয়-ডরহীন স্বাধীনচেতা, সুশিক্ষিত ছাত্র সমাজ চাই। আমাদের এমন মানুষ তৈরি হতে হবে যেন, আমি শুধু দেবো, চাইবো না।
আগামী দুই বছরের মধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে আমরা তিনটি বিভাগের শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনছি। আগামী দুই বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ ডিজিটাল সুবিধার আওতায় আসবে। কোনো শিক্ষককে হাজিরা খাতা নিয়ে ক্লাসে যাওয়া লাগবে না। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ঢোকার সাথে সাথে ফেস রিডিংয়ের মাধ্যমে তার উপস্থিতি কাউন্ট হয়ে যাবে।’
অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: ইকবাল কবীর জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. কিশোর মজুমদার, শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. প্রকৌশলী মোঃ আমজাদ হোসেন, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম, ড. সেলিনা আক্তার, সহকারী অধ্যাপক প্রভাষ চন্দ্র রায়, প্রভাষক নাজমুস সাকিব, এস এম তানজিল শাহ, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার আলমগীর, জান্নাত জুঁই প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুস্মিতা রায় চৌধুরী ও মো: সাকিব হাসান। বিকেলে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।