১৫ টাকার ত্রাণ নয়, বন্যার স্থায়ী সমাধান চায় রংপুরবাসী
তিস্তা নদী খনন ও দীর্ঘস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে নদীতীরবর্তী মানুষের সমস্যা নিরসনের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে রাবিতে অধ্যয়নরত রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মাহফুজ মুন্নার সঞ্চালনায় এসময় বক্তারা বলেন, উত্তরবঙ্গের দুঃখ বলা হয় তিস্তা নদীকে। মানুষ উত্তর বঙ্গের নাম শুনলে মঙ্গা পীড়িত এলাকা বলে এর পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভারত থেকে নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলা দিয়ে তিস্তা নদীতে শক্ত বাঁধ না থাকায় পানি বৃদ্ধি পায়। যার ফলশ্রুতিতে গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ জেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। এ বন্যা দেশের ইতিহাসের রেকর্ড তৈরি করেছে। প্রায় ৪৫ হাজার হাজার মানুষ পানি বন্ধী হয়ে আছে।
বক্তারা বলেন, ছেলে -মেয়েরা স্কুল- কলেজে যেতে না পারায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। জমির ফসল বিনষ্ট হচ্ছে। মানুষ কাজ কর্ম করতে পারছেনা যা কারণে উত্তর অঞ্চলের মানুষদের সমস্যার শেষ নেই। বন্যায় উত্তর বঙ্গে ত্রাণ বিতরণ করা হয় কিন্তু আমরা এই ত্রাণ সহায়তা চাই না। সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।
বক্তারা আরো বলেন, তিস্তা নদীতে নব্যতা ফিরিয়ে দিতে পারলে এডিপিতে অবদান রাখতে পারবে। তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি এজন্য সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। ভারত সরকারের সাথে তিস্তা সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রংপুরে ৮ জেলায় পাচঁজন মন্ত্রী থাকা স্বত্বেও এর সমাধান পাচ্ছিনা। এই সমস্যা প্রতিকারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব হস্তক্ষেপ দরকার। তিস্তা নদীতে শক্ত বাঁধ নির্মাণ করে স্থায়ী সমাধান চাই। আমরা ত্রাণ চাইনা আমাদের বাঁধ নির্মাণ করে সমস্যা নিরসন করে দিলে তাতেই সন্তুষ্ট থাকবো।
মানববন্ধনে তিস্তা নদী খনন ও শক্ত বাঁধ নির্মাণ করে আমাদের সমস্যা নিরসন করার জোর দাবি জানান বক্তারা। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সোহরাব হোসেন, সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী খাইরুল ইসলাম, আইন বিভাগের সাদ্দাম হোসেন সজীব, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী জুলফিকার আলী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের নয়ন মোহন্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলো। মানববন্ধন শেষে একটি মৌন মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে শেষ হয়।