হুমকির বিচারের দাবিতে সাংবাদিকদের অবস্থান, বাঁচাতে তৎপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০১৯, ০৫:১১ PM , আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯, ০৫:১১ PM
কুমিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সাংবাদিকদের উপর ছাত্রলীগের দুই নেতার হত্যার হুমকি ও লাঞ্ছনার ঘটনার ৪দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভাস্কর্যের পাদদেশে এ অবস্থানন কর্মস‚চী পালন করে তারা। এসময় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় সাংবাদিকদের। এদিকে বিতর্কিত এই দুই নেতকে বাঁচাতে তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।
গত ১৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা ছাত্রলীগের এক সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাঁদের উদ্দেশ্যে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শোয়েব হাসান হিমেল এবং সহ-সভাপতি মো. রাইহান ওরফে জিসান গুলি করে সাংবাদিকদের হত্যার হুমকি ও লাঞ্ছনা করেন। এ ঘটনার পর ৪ দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ যথাযথ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় সাংবাদিকরা। এছাড়া শাখা ছাত্রলীগের সকল ইতিবাচক সংবাদ বর্জনের ডাক দিয়েছে সাংবাদিকরা।
এদিকে গত ২১ জুলাই বিতর্কিত এ দুই নেতার বিরুদ্ধে ৪৮ ঘন্টার ভিতর কারণ দর্শানোর নোটিস দেয় শাখা ছাত্রলীগ এবং পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ছাত্রলীগের একটি সুত্র জানায়, এর আলোকে এ দুই নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।
তবে এই দুই নেতাকে বাঁচাতে তৎপর হয়ে উঠার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি মহলের বিরুদ্ধে। ক্যাম্পাসে মাদকের বিস্তার, শিক্ষার্থী পেটানো, সিনিয়রদের মারধর ও হুমকিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের পরেও তাদেরকে কেন্দ্র থেকে বাঁচানোর চেষ্টায় শঙ্কায় পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও। তাদের দাবি, এর আগের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে মৌখিক অভিযোগ দেয়া হলে কয়েকজন সিনিয়র নেতা এদের একজনের দায়িত্ব নেন। কিন্তু দায়িত্ব নেয়ার এক সপ্তাহ না পেরুতেই আবারও সাংবাদিক লাঞ্ছনা করে বসেন ঐ নেতা।
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, কুমিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের গুলি করে হত্যার হুমকির পরেও ছাত্রলীগ বিচারে গড়িমসি করছে। ক্যাম্পাসে আগেও সাংবাদিকরে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তার কোন বিচার আমরা পাইনি। অতিদ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে আমরা কঠোর অবস্থানে যাব। সাথে চলমান অবস্থান কর্মসূচি ও শাখা ছাত্রলীগের সকল ইতিবাচক সংবাদ বর্জনও অব্যাহত থাকবে।
এসব বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, তদন্তের প্রেক্ষিতে আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছি। আর সাংবাদিকদের সাথে ভবিষ্যতেও কেউ এমন আচরণ করলে তার দায়ভার ছাত্রলীগ নিবে না।