খুবিতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) লাইব্রেরির দ্বিতীয় তলায় নিয়ে বহিরাগত এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিণ্ট মেকিং ডিসিপ্লিনের (পিএম) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী পাপ্পু কুমারের বিরুদ্ধে। মেয়েটি খুলনা কলেজিয়েট কলেজের ফ্যাশন ডিজাইনিং ডিপার্টমেন্টের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনার দিন তেসরা জুলাই চারুকলা অনুষদে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনী দেখানোর নাম করে ভিক্টিমকে ডেকে আনে অভিযুক্ত পাপ্পু। এরপর তাকে ফুসলিয়ে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত লাইব্রেরীতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে ক্রন্দনরত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাইটগার্ডরা।পরে তার পরিবার ছাত্রবিষয়ক পরিচালক বরাবর পাপ্পুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী নির্যাতন বিরোধী সেল পাপ্পুর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে। উক্ত কমিটির তদন্তে প্রাথমিকভাবে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর ফলে পাপ্পুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, তদন্ত কমিটি ২৮ জুলাই চুড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিলেই তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার পর পাপ্পু ক্যাম্পাসে গেলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তার মুখে কালি লাগিয়ে ও গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে তাকে বের করে দেয়। অভিযুক্ত পাপ্পু বঙ্গবন্ধু পাঠক ফোরামের খুবি শাখার সভাপতি। সে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও করেছে বলে জানা গেছে। এমনকি অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য ভিক্টিমকে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রয়েছে বলে তার পরিবার জানায়।
খুবির ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান জানান, তদন্ত রিপোর্ট পেলে খুব শিগগিরই পাপ্পুর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে পাপ্পুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।