২১ জুলাই ২০১৯, ২২:১৭

সাংবাদিককে ছাত্রলীগ নেতার গুলি করার হুমকি: রাবি প্রেসক্লাবের নিন্দা

  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদককে ছাত্রলীগ নেতার গুলি করে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রেসক্লাব। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক রাইহান বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জয়।

রোববার (২১ জুলাই) যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিক লাঞ্ছনা এবং তাদের হুমকি প্রদান নতুন কোন ঘটনা নয়। এরুপ কর্মকান্ড সাংবাদিকতা তথা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর নগ্ন আঘাত। এ ধরণের পরিস্থিতিতে প্রতিটা সাংবাদিক নিরপাত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ধরণের হুমকির ঘটনায় সাংবাদিকতার মত একটি স্বাধীন ও মুক্ত পেশা বাধাগ্রস্থ হবে বলে আমরা মনে করি।

আমরা চাই, শুধুমাত্র কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় নয় সারা বাংলাদেশের সকল ক্যাম্পাস প্রতিবেদকদের সুরক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাজনৈতিক সংগঠন, সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ যথেষ্ট উদার ও গণতান্ত্রিক মানসিকতা পোষণ করবেন। এবং আমরা আশা করবো প্রশাসন দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।

এছাড়া সাংবাদিক হুমকির সাথে জড়িত ব্যক্তিকে আজীবন বহিস্কার করে বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে আগাছামুক্ত করতে শাখা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার পৌনে ১০টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে যায়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শোয়েব হাসান হিমেল সাংবাদিকদের অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ শুরু করেন। এবং চিৎকার করে সেখান থেকে সরে যেতে বলেন।

এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি তানভীর সাবিক প্রতিবাদ করলে হিমেল হুমকি দিয়ে বলেন, ‘গুলি করবো। বুলেট সাংবাদিক চিনে না, সাংবাদিক পাইলেই গুলি করে মারবো।’ এসময় হিমেলের সঙ্গে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাইহান ওরফে জিসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমকালের প্রতিনিধি আবু বকর রায়হানকে মারার জন্য তেড়ে আসেন।