স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে চবি প্রশাসন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) বর্তমান প্রশাসনের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জামায়াত শিবির সক্রিয় বলে কতিপয় মিডিয়ায় কিছু কাল্পনিক সংবাদ প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তবে যে যাই বলুক, স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠোর অবস্থানে কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বলছে ক্যাম্পাসে জামায়াত শিবিরসহ প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি অনেকদিন ধরেই নিস্ক্রিয় এবং বর্তমান সময়েও সে সময়ের কোন পরিবর্তন হয়নি। তারা সংগঠিত হচ্ছে বলে যেসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে সেসব ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। এ ব্যাপারে চবি প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত সচেতন ও তৎপর।
ছাত্রত্ব নেই এমন এক ব্যক্তির (হামিদুর রহমান আজাদ) পিএইচডি সেমিনার করার ব্যাপারটিকে বার বার সামনে এনে একই সংবাদ প্রচার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত শিবিরের সক্রিয়তার বিষয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বর্তমান প্রশাসনের সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে ২০১৮ সালে ছাত্রত্বের মেয়াদ শেষ হলেও বিশেষ সুবিধা দিয়ে বিগত প্রশাসন হামিদুর রহমান আজাদের ছাত্রত্ব বহাল রেখেছিল এবং আবারও মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন গ্রহণ করেছিল।
অথচ চবি প্রশাসন এ বিষয়ে অবগত হওয়া মাত্রই তাকে নিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সেমিনার করায় চবি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তিনজন শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লিখিত সার্বিক বিষয়ে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, বর্তমানে চবি ক্যাম্পাসে জামায়াত শিবিরসহ প্রতিক্রিয়াশীলদের কোনো অস্থিত্ব নেই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ ক্যাম্পাসে অত্যন্ত সুসংহতভাবে সহাবস্থান করছেন এবং জামায়াত শিবিরসহ প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে চবির বর্তমান প্রশাসনের অবস্থান সুস্পষ্ট ও কঠোর।