১৫ জুলাই ২০১৯, ১৬:৩৯

উৎসবমুখর পরিবেশে নোবিপ্রবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

  © টিডিসি ফটো

নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয় ।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানো হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্রই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন শুরু হয়। এছাড়া জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, আনন্দ শোভাযাত্রা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কেক কাটা, তথ্যচিত্র উপস্থাপনা, সম্মাননা স্মারক প্রদান, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন ছিল।

সকাল ৯ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত সবাই জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সদর-সুবর্ণচর ( নোয়খালী০৪) আসনের এমপি ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী। এসম অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, নোবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: দিদার-উল-আলম, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর এ কে এম সাঈদুল হক চৌধুরী, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন, পুলিশ সুপার মো: আলমগীর হোসেন, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন ও রেজিস্ট্রার প্রফেসর মোঃ মমিনুল হক।

উদ্ভোদন শেষে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলে সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ক্যাপ ও টি-শার্ট বিতরণ করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়।

র‌্যালী শেষে সকাল ১০টায় হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা। উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: দিদার-উল-আলম এর সভাপতিত্ব করেন। সভার শুরুতে পবিত্র কোরান তেলওয়াত করেন মো. মাহমুদুল হাসান, গীতা পাঠ করেন পাপিয়া, ত্রিপিটক পাঠ করেন সেবিতা চাকমা।


আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি একরামুল করিম চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা সরকারের অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে, তিনি না হলে নোয়াখালীতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম হতো না। সুতরাং আমরা কোনো ভাবেই আমাদের সৃষ্টিকে অস্বীকার করতে পারিনা’। তিনি আরো বলেন, আগামীতে এ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক হবে ফোরলেন, এখানকার ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ রেলপথে যোগাযোগ করতে পারবে। আর পরিবারের সদস্যদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে হাউজিং করা হবে।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: দিদার-উল-আলম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বিশ্বনেতা শতবছরেও জন্মায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে কঠিন দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন, আমি তা পালনে সর্বদা সচেষ্ট থাকবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও ভৌত অবকাঠামোসহ সর্বাঙ্গীন উন্নয়নে আপনারা আমাকে সহযোগীতা করবেন বলে আমি আশা করি।

একাডেমিক মানকে গতিশীল করতে নোবিপ্রবিতে আগামীতে পদার্থ, গণিত ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতো যুগোপযোগী বিভাগ খুলবেন বলে ঘোষাণা দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: দিদার-উল-আলম।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে আরও বক্তৃতা করেন, নোবিপ্রবি সাবেক উপাচার্য প্রফেসর এ কে এম সাঈদুল হক চৌধুরী, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন, পুলিশ সুপার মো: আলমগীর হোসেন, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, ডিসি (ভারপ্রাপ্ত) নোয়াখালী মো. আবু ইউছুফ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. গাজী মো. মহসিন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মো. মোখলেস-উজ-জামান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মো. ওয়ালিউর রহমান আকন্দ, নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি সফিকুল ইসলাম রবিন, কর্মচারীদের পক্ষে সোহরাব হোসেন প্রমুখ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে নোবিপ্রবি পরিবারের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, ছাত্র নির্দেশনা পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।