১০ জুলাই ২০১৯, ১৭:০২

রাবিতে সাংবাদিক হত্যাচেষ্টা: দুই বছরেও শেষ হয়নি মামলার তদন্ত

  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দ্য ডেইলি স্টার প্রতিনিধি আরাফাত রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলার দুই বছরেও শেষ হয়নি মামলা তদন্ত। বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা। বুধবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ফরিদের সঞ্চালনায় সভাপতি মতুর্জা নুর বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগ কর্তৃক সাংবাদিকরা নির্যাতিত হয়েছে। ২০১৬ সালে আমি ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হয়েছি। ২০১৭ সালে সাংবাদিক আরাফাতের ওপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। কোন দৃশ্যমান বিচার হয়নি।

প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক রাইহান বাপ্পী বলেন, আরাফাত রাহমানের ওপর হামলায় জড়িতের পূর্ণ পরিচয় ও ঘটনার ভিডিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। এরপরেও দুই বছর পার হলেও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে পারেনি প্রশাসন। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। অবিলম্বে অভিযুক্তদের আইনের আওতাই এনে দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।

রাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সুজন আলী বলেন ক্যাম্পাসের সাংবাদিকরা প্রথমত শিক্ষার্থী, সে হিসেবে শিক্ষার্থী নিরাপত্তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। তাই জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবি করছি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিহার থানার এসআই শিহাবুল জানান, মামলার তদন্ত এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনায় যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুতই জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে রাবি প্রক্টর ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘ওই ঘটনার সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না। মারধরের ঘটনাটি শুনেছি। খোঁজ নিব। জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী ইউনুস হৃদয়, সহ-সভাপতি ইয়াজিম পলাশ, রাবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জয়, কোষাধ্যক্ষ সালমান শাকিল প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১০ জুলাই রাবি প্রধান ফটকের সামনে বাস ভাংচুরের ছবি তোলার সময় দ্য ডেইলি স্টার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আরাফাত রাহমানের ওপর হামলা করে রাবি শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন আরাফাত এবং হামলায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামি করে নগরীর মতিহার থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়।