০৮ জুলাই ২০১৯, ১৬:০৫

কর্মচারীদের আন্দোলনে অচল বেরোবি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

আপগ্রেডেশন- প্রমোশন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সমন্বিত কর্মচারী পরিষদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর ভর্তি ও ফরম ফিলাপের চলতি কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। কর্মচারীদের আন্দোলনে ক্যাম্পাস কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে।

সোমবার সকাল ৯টায় আন্দোলনের ১২ তম দিনে আবারো প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি আন্দোলন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। এর আগে গতকাল রবিবার তারা রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা দিলে পুলিশের সহযোগিতায় বিকাল ৫টায় সেই তালা ভেঙ্গে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মচারীদের এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এবং একাডেমিক সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি গত জুন মাসের ২৭ তারিখে হলেও এখনো তাদের ফরম ফিলাপ করতে পারছেন না। একই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ৩০ জুন ভর্তি হলেও তারাও এ পর্যন্ত ফরম ফিলাপ করতে পারেনি।

আজ সোমবার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে গেলে তাদেরকে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে দেয়নি আন্দোলনরত কর্মচারীরা। পরে তারা ডিপার্টমেন্ট এ ফিরে গেলে তাদের আজকের ভর্তি স্থগিত করেছে বিভাগটি। এতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এসময় তারা বিভিন্নভাবে নিজেদের সেশনজটের কথা বর্ণনা করে। চলমান সেমিস্টার ৯ মাসেরও বেশি চলছে এমন কথাও বলছেন তারা।

এদিকে রসায়ন বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের ভর্তি হলেও তাদের ফরম ফিলাপও থেমে আছে কর্মচারীদের এই আন্দোলনের কারণে।

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম বলেন, আমাদের বিভাগের দুইটি বিভাগের ফরম ফিলাপ আটকে আছে। বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিলেই আমরা ফরম ফিলাপ করাতে পারবো।

এবিষয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবী নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি। শিক্ষার্থীরা ডিপার্টমেন্ট এ চাপ দিলে তারা প্রশাসনকে জানাবে। প্রশাসন আমাদের দাবী মেনে নিলেই আমরা এই আন্দোলন তুলে নেব। আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ দপ্তরে আসছেন না। আমরা তাকে পাচ্ছি না। তাদের অবহেলা আর আমাদেরকে বঞ্চিত করার কারণে আজ শিক্ষার্থীদেরকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নই। তবে আমাদের দাবী মেনে না নেওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।