আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবার জন্য এসেছি: জাককানইবি উপাচার্য
- জাককানইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০১৯, ১২:০৫ AM , আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৯, ১২:০৫ AM
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান কবি নজরুলের জীবদ্দশায় করা তার বিভিন্ন কাজের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ৪ বছর জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা করতে এসেছি। চলুন একসাথে আমরা কাজ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাই।
তিনি বলেন, কবি নজরুলের জীবন ছিল দুঃখে ভরা ছিল। আমি তাঁর জীবনী পড়ে কেঁদেছিলাম। তার জীবনে তিনি একাধারে মোয়াজ্জিন, খাদেম, ইমাম, দোকানের কর্মচারী, গৃহশিক্ষক, সম্পাদক, সাংবাদিক, সংগীতজ্ঞ, সৈনিক, দেশপ্রেমিক, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী সবকিছুর সাথেই কাজ করেছেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেছেন।
এরআগে বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু এম.পি এবং উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর চারুকলা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করেন তাঁরা।
বিকাল চারটায় গাহি সাম্যের গান মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব মো. আশরাফ আলী খান খসরু এম.পি। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, কবি নজরুল নারী-পুরুষের বৈষম্য, সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, অন্যায়-অত্যাচার ও সকল প্রকার অবিচারের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে কবি নজরুলের গান ও কবিতা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। ১৯৭২ সালের ২৪ মে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের কবিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং যথাযথ মর্যাদা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ। আপনারা তাঁকে সহযোগিতা করবেন। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যদের অনুরোধ করব উপাচার্যকে সহযোগিতা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে। আমি আমার মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করব এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট আকারে হলেও একটি লেক করা যায় কিনা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুব্রত কুমার দে ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ রাসেল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বাবু শিক্ষার্থীদের পক্ষ হতে বক্তব্য রাখেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৩ দিনব্যাপী বই মেলা চলছে। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।