০৩ জুলাই ২০১৯, ১৮:৪৮

বৃহৎ পরিসরে তিতুমীরের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি তিতুমীর কলেজ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। কলেজটির প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কলেজটির অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও ৫০ বছর উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমরা দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বৃহৎ পরিসরে আয়োজন করা হবে সরকারি তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান। এসময় তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছরের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম-শতবর্ষ উদযাপনের বিষয়টিও জানিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ২০২০ মার্চ পর্যন্ত অর্থাৎ চার মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চাই আমরা। এ উপলক্ষে titumir.org নামক একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। যেখানে তিতুমীর কলেজের সাবেক যে কোনো শিক্ষার্থী নিজের নাম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কলেজটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আশরাফ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, আনোয়ার হোসেন বীর প্রতীক, মোজাম্মেল হোসেন বীর প্রতীক, তিতুমীর কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি জিএসসহ সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতারা।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই আমরা পুনর্মিলনের আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনীতে সুবর্ণজয়ন্তীর মূল অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি করার বিষয়ে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি শিক্ষাবান্ধব রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান এ বিষয়ে আমাদের আমন্ত্রণে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করবেন।

কলেজের ইতিহাসের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৬৮ সালে রাজধানীর মহাখালীতে তিতুমীর কলেজ প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ‘জিন্নাহ কলেজ’ নামে। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান জগন্নাথ কলেজের (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র আন্দোলনকে নির্মূল করার জন্য মহাখালীতে অবস্থিত ডিআইটি খাদ্যগুদাম হিসেবে পরিচিত ভবনে জগন্নাথ কলেজের ডিগ্রি শাখাকে স্থানান্তর করেন এবং নামকরণ করা হয় জিন্নাহ কলেজ। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান রেডিও - টেলিভিশনে এক ভাষণে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি স্থগিত ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে জিন্নাহ কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া হিসেবে জিন্নাহ কলেজের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলেন। পরে আমরা সবাই মিলে বিকল্প একটি নাম চিন্তা করতে থাকি। একইদিনে ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী মহান নেতা তিতুমীরের নামকরণ নিশ্চিত করা হয়। ওইদিন রাতেই তিতুমীর কলেজ নামকরণের সাইনবোর্ড লেখা হয়, সেদিন থেকেই তিতুমীর কলেজের ইতিহাস শুরু।

কলেজটির সাবেক এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, বর্তমানে কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। শিক্ষক রয়েছেন প্রায় ৩০০। বর্তমানে ১২টি বিদ্যালয় সমান মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিতুমীর কলেজসহ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হয়েছে।