২৮ জুন ২০১৯, ১৬:০৫

১৮ লাখ টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক! (অডিও)

সাময়িক বরখাস্ত ইবির দুই শিক্ষক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবারো নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের ওই অডিও ফাঁসের ঘটনায় অনুষ্ঠিতব্য নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে। একইসাথে ওই ঘটনার সাথে জড়িত দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন- ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিন। যার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস হয়। অপরজন হলেন ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযােগী অধ্যাপক আবদুর রহিম।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী অনুষ্ঠিতব্য নিয়োগ বোর্ড স্থগিত ও দুই শিক্ষককে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগামীকাল (২৯ জুন) সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি তোলা হবে। একইসাথে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করার ব্যপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা যায়, শুক্রবার (আজ) দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের একটি অডিও ফাঁস হয়। এতে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের ব্যপারে একজন প্রার্থীর সাঙ্গে বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিন ও ইইই বিভাগের সহযােগী অধ্যাপক আবদুর রহিমের দুটি কথোপকথন রয়েছে।

আট মিনিট পয়ত্রিশ সেকেন্ডের ওই অডিও ক্লিপটিতে শিক্ষক নিয়োগে আরিফ হাসান নামের এক প্রার্থীর সঙ্গে ফোনে টাকা লেনদেনের বিষয়ে আলাপ করেন ওই দুই শিক্ষক। এসময় প্রার্থীর সঙ্গে ১৮ লাখ টাকায় চুক্তি হয় তাদের। এর মধ্যে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের আগে ১০ লাখ এবং সিন্ডিকেটে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেলে বাকি ৮ লাখ টাকা পরিশোধের বিষয়ে আলাপ হয় তাদের।

এদিকে আগামীকাল (২৯ জুন) শনিবার ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অডিও ফাঁসের ঘটনায় তা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসাথে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিন ও ইইই বিভাগের সহযােগী অধ্যাপক আবদুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন ‘প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ায় তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নৈতিক অবক্ষয়সমপন্ন কারোই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠাই হবে না। দুনীর্তির বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স অব্যহত আছে, থাকবে।’