দাবি বাস্তবায়নের পথে তবুও আন্দোলনে বেরোবি কর্মচারীরা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) কর্মচারীদের পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন, ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদানের দাবি বাস্তবায়নের পথে থাকলেও কর্মবিরতির আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ নামে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের একটি সংগঠন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মূল ধারার দুটি সংগঠন (৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন ও ৩য় শ্রেণি কর্মচারি অ্যাসোসিয়েশন) থাকা সত্ত্বেও নতুনভাবে ‘সমন্বয় পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন চালু করা হয়েছে। যার কোন ভিত্তি নেই বলে মনে করছেন অনেকে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, দুটি মীমাংসিত বিষয় নিয়ে কর্মচারীদের আন্দোলন অযৌক্তিক।
উল্লিখিত দাবিতে গত রবিবার থেকে সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে কর্মবিরতি পালন করে আসছে কিছু কর্মচারি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রায় সারে চারশ কর্মচারীর বেশিরভাগের আন্দোলনে অমত থাকলেও তাদেরকে দপ্তরে দপ্তরে গিয়ে জোর করে আন্দোলনে আনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম বলেন, আমাদেরকে বেকায়দায় ফেলতে আশ্বাস দিয়ে, মামলার কথা বলে দমানোর পাঁয়তারা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ না করে বরং ইউজিসি থেকে বলা মামলাকে বৈধতা দিতেই আমাদেরকে লিখিতভাবে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। অথচ এই মামলা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ এর সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তিনি জানান, যে দুইটি দাবী নিয়ে কর্মচারীরা আন্দোলন করছেন দুটিই মিমাংসিত বিষয়। ৫৮ কর্মচারীর বকেয়া বেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ইউজিসি ছাড় করিয়েছে কিন্তু মামলা সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী সেটি সুরাহা করে তাদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের পাওনা পরিশোধ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে নীতিমালার যে দাবী করা হচ্ছে রিভিউ কমিটি সেটির কাজ শেষ করেছে। এটি এখন সিন্ডিকেটে পাশের অপেক্ষায়।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের আড়াই মাসের মাথায় ফের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে কর্মচারীরা।