গবেষণায় সমৃদ্ধি লাভ করছে নোবিপ্রবি
- নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ জুন ২০১৯, ০৩:৫৫ PM , আপডেট: ২০ জুন ২০১৯, ০৩:৫৫ PM
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ২৭ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২০০৬ সালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) যাত্রা শুরু করে। শুরুতে প্রতিবন্ধকতা থাকলেও ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে নোবিপ্রবির গবেষণাক্ষেত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলো উন্নত করা হচ্ছে। ল্যাবগুলো তে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ গবেষণা করছেন। পাশাপাশি গবেষনায় উন্নয়নে সেমিনার লাইব্রেরি ও সেন্ট্রাল লাইব্রেরি তে গবেষনামূলক বই ও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
গবেষণায় অগ্রগতির জন্য ২০১৮ এর জানুয়ারিতে ৪ লক্ষ ৩২ হাজার বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট একাডেমিক ল্যাব এর কাজ শুরু হয়েছে যা ২০২০ সালে উদ্বোধন হবে এবং এটি বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সর্ববৃহৎ একাডেমিক ল্যাব ভবন। গবেষণায় সাফল্যের মধ্যে রয়েছে:
১) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন চারটি অমেরুদণ্ডী প্রাণীর সন্ধান লাভ।
২) উচ্চতর গবেষণায় ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ সেলিম হোসেন এর "এনিম্যাল হাউজ ও সেল কালচার হাউজ" প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা।
৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক ড.শ্যামল কুমার পাল এর নেতৃত্বে একদল গবেষকের বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের কৃত্রিম প্রজননের গবেষণায় সফলতা।
৪) বাইপোলার ডিসঅর্ডার নিয়ে গবেষণায় সাফল্যের জন্য ২০১৮ সালে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের ইউজিসি স্বর্ণপদক অর্জন।
৫) ২০১৮ সালে বাংলাদেশে প্রথম কালো রসুন তৈরি ও ড্রাগন ফল চাষে নোবিপ্রবির বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমার সরকার এর সফলতা অর্জন। ৬)২০১৭ সালে পমেটো চাষে নোবিপ্রবির কৃষি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. গাজী মো. মহসীনের সফলতা অর্জন।
৭) ২০১৮ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(যবিপ্রবি) বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ক্ষুরা রোগের নতুন টিকা আবিষ্কারের গবেষনায় গবেষক টিমের যুক্ত ছিলেন নোবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
৮) ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ১ম ব্যাচের ছাত্র ও শিক্ষক মো: সহিদ সারওয়ারের পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন।
৯) গবেষণা প্রকল্পে ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের তিন শিক্ষার্থীর ১২০০০ ডলার প্রাপ্তি।
১০) ভুট্টা গাছের বর্জ্য থেকে জ্বালানি তৈরির গবেষণায় যুক্ত আছেন নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী।
১১) উচ্চতর গবেষণার জন্য নোবিপ্রবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে ফেলোশিপ অর্জন।১২) উচ্চতর গবেষণার মাধ্যমে মাস্টার্স,পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, চীন, জাপান, আমেরিকা, ইউরোপ,তুরস্কের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এ নোবিপ্রবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ অর্জন।
১৩) গবেষণা বিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা, সেমিনার, সিম্ফোজিয়াম, কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করে নোবিপ্রবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দের সফলতা অর্জন।
১৪) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে নোবিপ্রবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণাপত্র। গবেষণায় আধুনিকায়নে ভবিষ্যত প্রকল্পসমূহের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অদূরে অবস্থিত উপকূলের ৭৭৮ একর জমির উপর ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা সমুদ্র বিজ্ঞান ও সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট স্থাপন যেখানে ডেলটা ফরমেশন, সমুদ্র বিজ্ঞান, ইকো ট্যুরিজম, ম্যানগ্রোভ বনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণা সম্ভব হবে।