২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৫

জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগের অভিযোগ: কুবি শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার

মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু ওবায়দা রাহিদ  © টিডিসি ফোটো

জালিয়াতের মাধ্যমে নিয়োগ লাভের অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু ওবায়দা রাহিদকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কারাদেশ চলাকালীন তিনি ক্যাম্পাসে প্রবেশ এবং কোনো ধরনের একাডেমিক বা প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। গতকাল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি আবু ওবায়দা রাহিদ মার্কেটিং বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের বিধিমালা অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৭০ থাকা বাধ্যতামূলক। তবে রাহিদের জিপিএ ছিল যথাক্রমে ৩.৫৬ এবং ৩.৫৪। অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মঈন নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত শিথিল করে তাকে নিয়োগের সুযোগ করে দেন।

এছাড়া নিয়োগের সময় রাহিদ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার সনদ জমা দিয়েছিলেন, যা পরবর্তীতে ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার দীর্ঘমেয়াদী চাকরির কোনো বৈধ নথিপত্র দেখাতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের সুপারিশে এবং এই ভুয়া সনদের ভিত্তিতেই তিনি গত তিন বছর ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে আসছিলেন। 

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ওনাকে (আবু ওবায়দা রাহিদ) সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা এখনই কিছু বলতে পারছি না। সবকিছু লিখিত আকারে এলে তখনই মন্তব্য করা সম্ভব হবে।’

তথ্য-প্রমাণ থাকার পরও কেন স্থায়ী ব্যবস্থা না নিয়ে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমরা ২০১৮ সালের আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি। ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। সেই প্রতিবেদন পাওয়ার পর ২০১৮ সালের আইন অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এই বহিষ্কারাদেশের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু ওবায়দা রাহিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।